এফএনএস : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২৬০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানার দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং রানি জেৎসুন পেমা। মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা। পরে তারা বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং রানি জেৎসুন পেমা মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা। বাসস জানায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২৬০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ভুটানের প্রতিনিধিদলের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা ছিলেন আমন্ত্রিতদের মধ্যে।ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শীর্ষ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের অনেকে এসেছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রেবেকা সুলতানা এবং ভুটানের রানী জেৎসুন পেমা বঙ্গভবনের মাঠের পূর্বদিকে ভিভিআইপি এনক্লোজারে একটি কেক কাটেন। তারা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফটো সেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আসা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সংবর্ধনা শেষে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এর আগে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এম সাইফুল কবির। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার ঢাকা পৌঁছান ভুটানের রাজা। সোমবার বিকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাদের উপস্থিতিতে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং একটি চুক্তি নবায়ন হয়। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের রাজাও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বুধবার পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। পরদিন কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।