মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন

স্মার্ট ফোনে, অনলাইনে আপনার সন্তান \ আসক্তি শারিরীক ও মানসিক ক্ষতির কারণ \ নজরদারিতে রাখুন \ অনলাইনে সন্তানের সাথে থাকুন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

 

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ আজকের শিশুরা আগামী দিনের বাংলাদেশ, আজকের কিশোররা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানের মহাক্ষেত্র। আর তাই শিশু কিশোরদের কে মেধাযুক্ত, আর ভবিষ্যত উপযোগি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো বর্তমান পরিস্থিতি, প্রেক্ষাপট এবং পরিবারের অভিভাবকদের সহনশীলতা, সরলতা, শিশুমনকে কর্মব্যস্ত রাখতে কিশোর সন্তানের ইচ্ছার কাছে আত্মসমার্পণ করে মুঠোফোন, তথা মোবাইল ফোন দিচ্ছে। যা শিশু কিশোরদেরকে মোবাইল তথা অনলাইনে আসক্ত করে তুলেছে। যা শিশু কিশোরদের কেবল মানসিক বিকার গ্রস্থ করছে তা নয় অনলাইনের খারাপ দিক গুলোতে আসক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। আপনার সন্তান অনলাইনের কোন ক্ষেত্রে অবস্থান করছে, কোন ছবি, ভিডিও দেখছে সে বিষয়টি আপনাকে অনুধাবন করতে হবে। সন্তানের আহলাদে বা আবদারে তার হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়ে প্রকারান্তে তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা সেটা অবশ্যই ভাবতে হবে। শিশু কিশোরদের হাতে মুঠোফোন, কম্পিউটার বা ট্যাবলেটে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিলে অবশ্যই বাবা মাকে নজরদারিতে থাকতে হবে। শিশু কিশোরদেরকে অবশ্যই বোঝাতে হবে অনলাইনের কুফল বা খারাপ দিক সম্পর্কে। শিশুদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। শিশুর হাতে যে যন্ত্র দেওয়া হবে বা দিবেন তাতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই—মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। ইউটিউব কিডস, প্যানেন্টাল সেফ ব্রাউজার, বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েব সাইটের চাইল্ড ভার্সন অপশন চালু রাখতে হবে। আবার কিছু কিছু সাইট ব্লক করে রাখতে হবে। এক কথায় নজরদারীর মাধ্যমে জানতে হবে শিশু কিশোর কোন সাইটে বেশী আসক্ত হচ্ছে খারাপ কোন সাইটে অগ্রগামী হয় তবে তা ব্লক করে দিতে হবে। সর্বাপেক্ষা ভাল হয় শিশুকিশোররা যতক্ষণ অনলাইনে থাকবে ততোক্ষণ মা—বাবাকে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। তাহলে অনলাইনে শিশুরা নিরাপদ থাকবে। আপনার সচেতনতাই আপনার সন্তানকে সুরক্ষা দিতে পারে। স্মার্ট ফোন সহজেই সন্তানের হাতে না দেওয়াই ভাল। অতিরিক্ত সময়ে অনলাইনে থাকার অর্থ মেধা, মনন, মানষিকতার ক্ষেত্রে অপুরণীয় ক্ষতি। বিষাদগ্রস্থ এবং চোখের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। স¤প্রতি সন্তানের নাছোরবান্দার বিষয়টি মা বাবা সামনে আনায়ন করে বলতে শোনা যায় ফোন না দিলে খেতে অনাগ্রই দেখায় কান্নাকাটি করে। কিন্তু এক সময় স্মার্ট ফোন ছিল না, তখন মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে কিভাবে ভাত খাওয়াতেন। আমাদের সন্তানদের আমাদেরকেই উপযুক্ত মানুষ হিসেবে, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে আর এ জন্য সন্তানের অনলাইনে থাকার বিষয়টি পিতামাতাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাস্তবতা হলো একাধিক পিতা মাতা দৃষ্টিপাতকে জানান অনলাইনে, স্মার্ট ফোনে, ফেসবুকে বা ইউটিউব এ সন্তান কি দেখছে সে বিষয়ে নজরদারী করতে গেলে সন্তান ক্ষুব্ধ হয়। রাগান্বিত হয়। এটাই সর্বাপেক্ষা বড় উদ্বেগের বিষয়। পিতামাতাই তার সন্তানের একমাত্র মঙ্গল কামনাকারী আর সন্তান যখন ক্ষুব্ধ হয় তখন অনুধাবনের ক্ষেত্র নিশ্চিত হয় হয়তো বা সন্তান ভুল পথের অনলাইনে অবশ্যই সতর্কতা এবং নজরদারীর বিকল্প নেই আমাদের অজান্তেই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী আমাদের সন্তানরা সাইবার ক্রাইমে জড়িয়ে পড়বে না এর নিশ্চয়তা কোথায়? পিতামাতাকে সন্তানের ইন্টারনেট বা স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কনটেন্ট, বেছে দিতে হবে। ইন্টারনেট আসক্তি যেন শিশু কিশোরদের স্পর্শ করতে না পারে সেটাই অপরিহার্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com