সড়ক দূর্ঘটনা থেমে নেই। আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে অতি পরিচিত এবং দৃশ্যমান ঘনঘটা সড়ক দূর্ঘটনা। এমন কোন দিন নেই এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দেমের সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে না। দেশময় সড়ক দূর্ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে বলা যায় সড়ক দূর্ঘটনা মহামারী আকার ধারন করেছে। সড়কে সড়কে রক্ত আর আহতদের আর্তচিৎকার, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পরিজনের কান্না আর কান্না যেন থামতে চাইছে না। যে পরিবারের কোন সদস্য সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারায় বা অন্য কোন কারনে মৃত্যু বরন করে সেই পরিবার কতটুকু অসহায় এবং চরম মর্মান্তিক পর্যায়ে থাকে সেটা সেই পরিবার ব্যতিত অন্য কোন পরিবার অনুধাবন করতে সক্ষম হয় না। সারা দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত এমন অগনিত পরিবারের চোখের পানি থামছে না। সড়ক ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে এক শ্রেনির চালকদের অতিরিক্ত গতিতে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যানবাহন চালানোর জন্য সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। যান চলাচলে অনেক সময় ট্রাফিক আইনকে যথাযথ ভাবে দেখা বা মেনে চলা হয় না। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় থেমে নেই সড়ক দূর্ঘটনা। শহরের মেইন সড়কের পাশাপাশি সংযোগ সড়ক গুলোতে অবিরাম চলাচল করছে এক শ্রেনির কথিত যানবাহন, ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন সহ এই জাতীয় অনাকাঙ্কিত কথিত যানবাহন সড়ক দূর্ঘটনাকে ত্বরান্বীত করে চলেছে। সদ্য শেষ হওয়া দুর্গোৎসব ও ঈদের সময় গুলোতে এক শ্রেনির কিশোররা মোটর সাইকেল নিয়ে ইচ্ছামত সড়কে সড়কে চক্কর দিয়ে সড়ক দূর্ঘটনাকে এগিয়ে নেয়। অবিলম্বে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। প্রকৃত ও সনদধারী চালকদের হাতেই কেবল যানবাহনের চাবি তুলে দিতে হবে। যানবাহন মালিকদেরকে বিশেষ ভাবে সতর্ক হতে হবে। সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে বিশেষ ভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।