বাংলাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে অতি পরিচিত দৃশ্য সড়ক দূর্ঘটনা। সড়কে সড়কে দূর্ঘটনা আর আহত ও নিহতদের আত্মচিৎকার আকাশ বাতাস ভারী হওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ঘর হতে বের হওয়া সুস্থ মানুষটি ঘরে ফিরতে পারছে কিনা পারবে কিনা এমন নিশ্চয়তা কোথায়? দেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো উন্নত এবং আধুনিক এক কথায় বলা যায় বিশ্বমানের। কিন্তু কেন এমন বেহিসেবি এবং অত্যাধীক সড়ক দূর্ঘটনা। যানবাহন শ্রমিক শ্রেনি এবং পথচারিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে এক শ্রেনির চালকদের নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যানবাহন চালনা করা সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম কারন, এখানেই শেষ নয় আমাদের ব্যস্ততম সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে কথিত যানবাহন ইঞ্জিনভ্যান, নছিমন, দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সড়ক দূর্ঘটনা থেমে নেই। জেলার বিশলক্ষাধীক মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের একমাত্র সড়ক সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়ক। জেলায় রেল বা নৌ পথ না থাকায় সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়ক অতিরিক্ত ব্যস্ততম সড়কে পরিনত হয়েছে যে কারনে এক সড়কে প্রতিমুহুর্তে সব ধরনের যানবাহন চলছে তো চলছেই যে কারনে সড়ক গুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক যান বাহনের উপস্থিতির কারনে সড়ক দূর্ঘটনা ত্বরান্বীত হচ্ছে তো হচ্ছেই। সাতক্ষীরার শহর ও তার আশপাশের সড়ক ও সংযোগ সড়ক গুলোতে ইঞ্জিনভ্যান, নছিমন এবং করিমন চলছে এবং উক্ত অনাকাঙ্খিত কথিত যানবাহনের উপস্থিতি সড়ক গুলোতে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছেই। যে পরিবারের কোন সদস্য সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয় বা পঙ্গুত্ব বরন করে ও আহত হয় সেই পরিবারই কেবলমাত্র অনুভব করতে সক্ষম হয় সড়ক দূর্ঘটনা কতটুকু বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। একটি সড়ক দূর্ঘটনা, একটি মৃত্যু সারাজীবনের কান্না আর তাই কোন অবস্থাতেই সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে অনিয়ন্ত্রীত ভাবে যানবাহন না চালাই বিশেষ করে অল্প বয়স্ক কিশোরদের হাতে যেন অভিভাবকরা মোটর সাইকেল বা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের চাবি তুলে না দেয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।