সড়ক দূর্ঘটনা থেমে নেই। বাংলাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক গুলো দুর্ঘটনা প্রবন হিসেবে বিশেষ ভাবে খ্যাতি অর্জন করলেও সা¤প্রতিক সময় গুলোতে জেলা শহরের সড়ক সহ সংযোগ সড়ক গুলোতেও থেমে নেই মানব ঘাতক খ্যাত সড়ক দূর্ঘটনা। এমন কোন দিন নেই এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দেশের অভ্যন্তরের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে মানব ঘাতক খ্যাত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে না। দেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতা ও পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় দেশের সড়ক গুলোতে যে ভাবে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে তা দৃশ্যতঃ মহামারী আকার ধারন করেছে। গত কয়েক মাস যাবৎ সড়ক দূর্ঘটনার গতি প্রকৃতি ভিন্ন হতে ভিন্নতর হতে চলেছে যে কারনে সড়কে সড়কে মৃত্যুর মিছিল, আর আহতদের আত্মচিৎকারে বাতাস ভারি হচ্ছে। যে পরিবারের কোন সদস্য সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে সেই পরিবারই কেবলমাত্র অনুভব করতে সক্ষম হয় সড়ক দূর্ঘটনা কতটুকু মর্মান্তিক বেদনাদায়ক আর কষ্টের। একটি সড়ক দূর্ঘটনা আজীবনের কান্না, কষ্ট আর ব্যথা আর তাই সড়ক দূর্ঘটনা হতে দুরে থাকতে হবে সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। সা¤প্রতি এক শ্রেনির কিশোর ও যুবক শ্রেনি সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে মোটর সাইকেলও প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করায় দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এ ক্ষেত্রে কিশোর ও যুবকদের হাতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যথাযথ ভাবে না দেওয়ার বিষয়ে অভিভাবকদের কে বিশেষ ভাবে সতর্ক হতে হবে। সড়ক গুলোতে চলাচল করা যানবাহন গুলোর কোন কোনটি নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে পরিচালনা করে যা সড়ক দূর্ঘটনার জন্য অন্যতম কারন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অপেক্ষা করে কম গতিতে যান চলাচল করা হলে তার গতি অতি সহজেই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব কিন্তু অতিরিক্ত গতিতে যান চলাচল করলে দ্রুততার সাথে গতি রোধ করা সম্ভব হয় না। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় এক শ্রেনির কথিত যানবাহন খ্যাত ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন এর ব্যাপক উপস্থিতি এবং অদক্ষ, অযোগ্য চালক দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সব ধরনের কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে।