এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে হরিণের শরীরে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। এতে করে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। তাদের আশঙ্কা, এই প্রাণীগুলো করোনার নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের বাহক হয়ে উঠতে পারে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন ধারণা পোষণ করেন পেনসিলভেইনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে লাখ লাখ মানুষ সংক্রমিত হওয়ার মধ্যেই বন্য প্রাণীর শরীরে শনাক্তের খবর আসলো। পেনসিলভেইনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, নিউ ইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ডের ১৩১টি হরিণের নাক থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে তারা দেখতে পেয়েছেন ১৫ শতাংশ হরিণের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়েছে। গবেষকদের দাবি, তারা নিশ্চিত যে এই প্রাণীগুলো করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়লে এই প্রাণীগুলো পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। পেনসিলভেইনিয়া অঙ্গরাজ্যের ভেটেরিনারি মাইক্রোবায়োলজিস্ট সুরেশ কুচিপুডি বলেন, ‘যে কোনো বন্যপ্রাণীর মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার ঘটলে সেটা মানুষের মধ্যে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল এর মাধ্যমে ভাইরাসের নতুন ধরন তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রাণীর দেহে ভাইরাসের বড় ধরনের মিউটেশন ঘটলে সেটা টিকার সুরক্ষা বলয় ভেঙে দেওয়ার শক্তি অর্জন করতে পারে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব টিকা মানুষকে দেওয়া হচ্ছে তা আর ওই ভাইরাসকে ঠেকাতে পারবে না। অর্থাৎ সে সময় টিকা হালনাগাদ করা লাগতে পারে। ’যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের আগস্টে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে প্রথমবারের মতো একটি হরিণের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই করোনা আক্রান্ত প্রাণীর সংখ্যা বেড়িই চলেছে। এর আগে দেশটির কৃষি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল হরিণের আগে কুকুর, সিংহ, বিড়াল, বাঘসহ বিভিন্ন প্রানীর শরীরে করোনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সূত্র: রয়টার্স