দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের অতি পরিচিত ফল কাঁঠাল। এই ফল কেবল পরিচিত তা নয় অত্যন্ত রসনাতৃপ্ত, আবহমানকাল যাবৎ এদেশের মানুষের অতি প্রিয় ফল হিসেবে কাঠালের অবস্থান শীর্ষে। দেশে বর্তমান সময়ে চলছে কাঁঠালের মৌসুম সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে ব্যাপক উপস্থিতি ঘটেছে বাঙ্গালীর প্রিয় ফল কাঁঠাল। এই ফল কেবল মাত্র রসনা তৃপ্তেই যথেষ্ট নয় কাঁঠালের রয়েছে নানান ধরনের পুষ্টি গুনাগুন। এই ফল পুরোপুরি পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে ক্যালসিয়াম, পাটাশিয়াম বায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, সোয়িাম সহ বহুমুখি পুষ্টি উপাদান কাঁঠাল নানান পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ হওয়ায় ইচ্ছা মানব দেহের জন্য অতি উপকারী কাঠাল এমন এক ধরনের ফল যা কেবল পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ তা নয় এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংরক্ষন করে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় বিপুল পরিমান কাঁঠাল উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হলেও সাম্প্রতিক বছর গুলো কাঁঠালের উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে খুলনা সাতক্ষীরা সহ উপকুলীয় এলাকাগুলোতে প্রকৃতির নিষ্ঠুরতম জ্বলোচ্ছাসের কারন হেতু জলাবদ্ধতার কল্যানে কাঠাল গাছের মৃত্যু ঘটেছে। কাঁঠাল গাছ দৃশ্যতঃ সহজেই পানি নিষ্কাষন হয় এমন ভূমিতে আবার কিছুটা উঁচু মাটিতে কাঠাল গাছের জন্য উপযোগী। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সাম্প্রতিক বছর গুলোতে কাঠাল গাছের বৃদ্ধি. অবস্থান হ্রাস পেয়েছে যে কারনে কাঁঠালের উৎপদন ও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে উত্তর এলাকা হতে কাঁঠাল আসতো এবং দেশী (সাতক্ষীরার) কাঠালের পাশাপাশি উত্তর অঞ্চল হতে আসা কাঁঠাল সাতক্ষীরার চাহিদা পুরন করতো।তবে বরাবরই সাতক্ষীরায় উৎপাদিত কাঁঠালের চাহিগা ও গ্রহনযোগ্যতা অনেক অনেক উচ্চতায়। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত কাঁঠালের স্বাদ ও উত্তর অঞ্চলের কাঠাল অপেক্ষা অনেক অনেক বেশী। জেলার সদর উপজেলার পাশাপাশি তালঅ, কলারোয়া ও পাটকেলঘাটা এলাকায় ব্যাপক কাঁঠাল উৎপাদন হয় জেলার দেবহাটা আশাশুনি কালিগঞ্জ শ্যামনগর এলাকাতে অপেক্ষাকৃত কাঁঠালের উৎপাদন কম। গত কয়েক বছর যাবৎ পার্বত্র অঞ্চলের জেলাগুলো হতে অর্থাৎ কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে পাহাড়ী এলাকা হতে ট্রাক কি ট্রাক কাঠাল আসছে সাতক্ষীরায় আর পাহাড়ী অঞ্চল হতে আসা কাঁঠাল সাতক্ষীরার চাহিদা পুরনে অনেকাংশে ভূমিকা রেখে চলেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে পাহাড়ী এলাকা হতে আসা কাঁঠাল প্রতি পিচ বা ওজনে নয় লাট হিসেবে, ভরা ট্রাক বা ভরা ভ্যান হিসেবে বিক্রি হয়। অত্যন্ত কম মূল্যে পাওয়া কাঁঠাল ব্যবসার সাথে বিপুল সংখ্যক লোকজন সংশ্লিস্ট হয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীক অর্থনীতিতে কাঁঠাল নির্ভর অর্থনীতিতে পূর্ণতা পেয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ সাতক্ষীরা শহরস্থ সুলতানপুর বাজার সহ উপজেলা ভিত্তিক কাঁঠাল বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে কোন কোন এলাকাতে কাঁঠাল ওজনে বিক্র হচ্ছে বিশেষ করে খুচরা বিক্রির ক্রেতা বিক্রেতারা ওজনকেই বেছে নিয়েছে। প্রতি কেজি কাঁঠাল পনের টাকা বারটাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির কাঁঠালের উপস্থিতি দৃশ্যমান, খাজা এবং রসালো সেই সাথে দোয়াশ কাঁঠাল। এক ক্রেতা জানান ওজনে কাঁঠাল ক্রয় করেও লাভবান হচ্ছে কাঁঠাল এর কোয়া খাওয়ার পাশাপাশি কাঠালের বিচি সবজি হিসেবে আলূর বিকল্প ব্যবহার করতে পাচ্ছে। কাঁঠাল এর পাশাপাশি কাঁঠালের কাঠ কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, সাতক্ষীলায় কাঠাল উৎপাদন জলাবদ্ধতার পাশাপাশি কাঁঠাল গাছ কর্তন পরবর্তি নানান ধরনের ফার্ণিচারে তৈরী করায় কাঁঠাল গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন কাঁঠালের সাথে বেশী বেশী পরিচিত হই।