দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ তালগাছের সাথে পরিচিত নন এমন মানুসের সংখ্যা খুজে পাওয়া দুস্কর। জনজীবনে, পরিবেশে তালগাছের বিকল্প নেই। এবার তাল শাসবিশেষ ভাবে আলোচনায়। বর্তমান সময়ে বাজারে তালের উপস্থিতি ব্যাপক। ঔষধী ফল হিসেবে তাল যেমন অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুরুপ ভাবে তাল শাঁসের চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে এই শাঁসের। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় গাছে গাছে গাছিরা তাল পাড়তে ব্যস্ত এই তাল বাজারে নিয়ে প্রতি পিস, হালি, ডজন আবার কোন কোন বিক্রেতা কান্দিসহ বিক্রি করছে। হাট বাজার গুলোতে তালের উপস্থিতি যেমন অনুরুপ ভাবে ক্রেতা সংখ্যা ততোধিক। প্রতিটি তালে তিন থেকেচারটি শাঁস থাকে। সাতক্ষীরার অর্থনীতি ব্যাপক ভূমিকা পালন না করলেও বর্তমান তাল মৌসুমে এই ব্যবসা জমজমাট। সাতক্ষীরা হতে প্রতিদিন ট্রাক কি ট্রাক তাল রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অপরাপর বাজারে যাচ্ছে। বর্তমান তাপদাহের এই সময় গুলোতে তাল শাঁসের চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গরমের মধ্যে হাটবাজারে দাঁড়িয়ে তাই তালশাঁস খাওয়ার দৃশ্য দেখাচ্ছে। বাজারে আস্ততাল এবং শাঁস উত্তোলন করা তাল ভিন্ন মুল্য। কথায় বলে তালগাছের আড়াই হাত,এক্ষেত্রে গাছের উপরে উঠতে যেমন বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় অনুরুপ ভাবে তাল পেড়ে পরবর্তিতে উক্ততাল দাত দিয়ে কেটে শাঁস বের করা কষ্ট ও সময় সাপেক্ষ। যে কারনে বাজারে একটি আস্ততালের মূল্য ৫/৭ টাকা আর প্রতিটি উত্তোলন করা শাঁসের মূল্য ৪/৫ টাকা। কার্যত যে ঝকি ঝামেলা পোহাতে হয়। সেজন্যই এমন মূল্যেল তারতম্য। গ্রামে গ্রামে তাল ব্যবসায়ীরা ফল (তাল) পাইকারী দরে ক্রয়ে করে। তাল গাছ থেকে পড়তে এবং বাজারজাত করনের খবর বাদদিয়ে খুববেশী লাভ থাকে এমনটি নয়জানালেন তাল শাসব্যবসায়ী একরকামুল কবরি। খোজ নিয়ে জানাগেছে এই ব্যবসায় জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ সংশ্লিষ্ট এবং বড় অংশের পরিবার পরিজন তালশাঁস ব্যবসায় জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। তাল শাসের অথনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি নানামুখি ঔষধি গুনের অধিকারী এইফল। শরীরকে সুঠম করে, হাতের শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তালশাঁসের গুনের শেষনেই। পেটেররোগের মহাষৌধ, সব ধরনের পেটের পিড়া দুীরকরনে এই শাঁসের বিকল্প নেই। হেজচির বিরুদ্ধেতুমুল প্রতিরোধী তালশাষ। শরীরকে শীতল রাখতে তাল মাঁসের অদ্বিতীয় ভূমিকা শরীর ফোলা ভাব,মানসিক রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ও কাজ করে তাল মাস,জ্বর এবং অতি গরমের হ্যাঁস ফাঁস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তালশাসের গুনেরশেষনেই। তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধক মোকাবিলায় তালশাসেরগুনেরশেষনেই। তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধক হিসেবে যেমননিজেকে বিস্তৃত করেছে অনুরুপ ভাবে তালশাঁস মানবদেহকে সুরক্ষিত রাখতে নীরলসভাবে কাজ করছে। তাল শাঁসের অর্থনৈতিক গুরুত্বই শেষ নয়। তালের রস অন্যতম রসনাতৃপ্ততায় আচ্ছন্ন করে জনজীবনকে তালের রস ও পাটালী বাঙ্গালীর অতি প্রিয় মিষ্টান্ন, বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির তালগাছ পাকাতালের উৎপাদিক হিসেবেও পরিচিত। পাকাতালের বহুবিধখাদ্য সামগ্রী বিশেষজনপ্রিয় তালের আচার,তালের পাখে, মোরব্বা তাল রেখরা অতিমুখরোচক ও পুষ্টি গুনসমৃদ্ধ খাদ্য। তাল শঁষাসের এই বর্তমান মৌসুমে গ্রামে গ্রামে তালগাছ দেখতে আসায়, তালগাছ মালিকের সাথে দরদাম পরবর্তি তালগাছে উঠে তাল পাড়া এব ভ্যান,পিকআপ ভর্তি তালবাজার জাতকরন ও রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য জেলায় ্েররণে কর্মচাঞ্চাল্যতা যেন উৎসবের বরতায় নিয়েছে।