সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হাটবাজারে শীতের সতেজ সবজির ব্যাপক উপস্থিতি সবজিতে ক্রেতাদের স্বস্তি: মাছ মাংসে ছড়াচ্ছে উত্তাপ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫

 

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে হাটবাজার, ঝকঝকে, তকতকে সতেজ সবজির উপস্থিতি চোখ জুড়িয়ে মন ভরাচ্ছে একই সাথে সবজির বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। দেশের রাজধানী ঢাকা হতে শুরু করে সর্বত্র সবজির মূল্য হ্রাসের বিষয়টি বাজার ব্যবস্থার প্রতি আন্তরিকভাবে ঝুঁকছে ভোক্তা তথা ক্রেতা সাধারণ। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় হাটবাজার গুলোতে বিপুল পরিমাণ সবজির সমাহার। এই জেলা বরাবরই সবজি তথা শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এবং বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত পেয়েছে। কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবারের সবজি চাষের প্রথম দিকে বারবার অতিবৃষ্টি এবং আকাশ বন্যার কারণে সবজিক্ষেত, বীজতলা জলাবদ্ধতায় পরিণত হয় কোন কোন সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়। বিধায় একাধিকবার সবজি চাষ করতে হয়, তবে সুখের বিষয় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষকারে ফুলকপি, ওলকপি, পাতা কপি, বিট কপি, সিম, বেগুন, বরবটি, খিরা, গাজর, পালন, লালশাক সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় সঙ্গত কারণে কৃষক খুশি, গত দুই দিন যাবৎ সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার, বৌ বাজার, কদমতলা বাজার, ঝাউডাঙ্গা বাজারসহ অনান্য বাজারের সবজি হাট পরিদর্শনে দেখা গেছে অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা সবজির মূল্য অস্বাভাবিক কম। প্রতি কেজি ফুলকপি বিশ টাকা, ওলকপি পনের টাকা, বেগুন পঁচিশ টাকা, নতুন আলু উঠতে থাকায় বাজার ভেদে পঁয়ত্রিশ ত্রিশ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। এক কথায় সবধরনের সবজির মূল্য নিম্নমুখি ক্রেতারা স্বচ্ছন্দে সবজি সংগ্রহ করছে। চাহিদা এবং সরবরাহের বিষয়টি ব্যবধান হওয়ায় দৃশ্যত: সবজির মূল্য নিম্নমুখি এক্ষেত্রে কৃষকের মন কিছুটা খারাপ, কারণ মূল্য কম হওয়ায়, তবে উৎপাদন বাম্পার হওয়ায় কৃষকের সবজি চাষে লাভের পথই দেখছে। বাজার ব্যবস্থায় সবজির ক্ষেত্রে সুখবর থাকলেও মাছ, মাংসের খবর ভাল নয়। মাছের বাজারে আগুন বইছে। মাছের মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। চিংড়ী হতে রুই, মৃগেল এমনকি তেলাপিয়া মাছের মূল্য উর্ধ্বমুখি। ট্যাংরা, পারসে, ভেটকির মূল্য আরও এক ধাপ অগ্রগামী। মাছের পাশাপাশি মাংসের বাজারেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সবধরনের মাংসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেণির মাংস ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত মাংসের মূল্য নির্ধারণ করছে। খাসি কেজি প্রতি এক হাজার এবং তারও বেশী, গরুত কেজি প্রতি সাত শত হতে সাতশত পঞ্চাশ। এক্ষেত্রে বোকনা গরুর মাংস এড়ে বলেও বিক্রি হচ্ছে। দেশী, সোনালী, পোল্টি্র সব ধরনের মুরগীর মূল্য বেড়েই চলেছে। সবজির বাজার যেমন স্বস্তির মাছ মাংসের বাজার অনুরূপ স্বস্তির এবং স্বচ্ছন্দের হোক এমন প্রত্যাশা ক্রেতাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com