দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের নির্মূল ও নিশ্চিহৃ করার লক্ষে একের পর এক হামলা করেই চলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিরা নিহত হচ্ছে। এমন কোনদিন নেই এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে না। অন্যদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামলা এবং একের পর এক হত্যাকান্ড পরিচালনা করলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের উপর প্রতিমুহুর্তে হামলা পরিচালনা করলে হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতি যোদ্ধারা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাস নির্মূলে ব্যাপক ভিত্তিক অভিযান ও হামলা পরিচালনা করলেও কোন অবস্থাতেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের কে নির্মূল করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের অগ্রদূত হামাস যোদ্ধারা কোন অবস্থাতেই দখলদার বাহিনীর ভয়ে ভীতু নয়, তারা কোন সময়ে প্রকাশ্যে আবার কোন কোন সময়ে আত্মগোপনে থেকে আবার কৌশলে হামাস যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করে চলেছে। গতকালও রাফা শহরের অভ্যন্তরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলকে ফাঁদে ফেলে হতাহত করে। এখানেই শেষ নয় হামাস যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একাধিক হেলিকপ্টারে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামাসের পক্ষহতে এই প্রথম বারে মত ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামাসের পক্ষ হতে এই প্রথম বারের মত ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হলো হেলিকপ্টারে। ইসরাইল বাহিনীল একাধিক কমান্ডার ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে বলেছে যে হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব নয় কারন হামাস একটি জাতির মুক্তির জন্য লড়াই করছে। এক হামাস সদস্য নিহত হলে মুহুর্তের মধ্যে তার স্থানে আরেক হামাস জন্ম নেবে সেই শুন্যস্থান পুরন করবে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার পক্ষ হতে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের সাথে সমঝোতা চাইছে আর এই সমঝোতার মাধ্যমে তারা তাদের বন্দীদের মুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। বর্তমান সময়ে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় যে আলোচনা চলছে সেই আলোচনার বিষয়ে দৃশ্যতঃ ইসরাইল সরকারের আগ্রহবেশী। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতা নিয়াহু বলেছে কোন অবস্থাতেই ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি হলেও প্রধান হামাস নির্মূল অভিযান চালিয়ে যাবে। এদিকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বোন সহ পরিবারের দশ সদস্যকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। আল জাজিরা টেলিভিশনের পক্ষ হতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এবং উক্ত প্রতিবেদন বলা হয়েছে হামাস প্রধানের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের বসতঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন এমন সময় সোমবার রাতে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর একাধিক বিমান উক্ত বসতবাড়ীর উপর পর পর গোলা বর্ষন করে এবং ঘটনাস্থলে ইসমাইল হানিয়ার বোনসহ অন্তত একই পরিবারের দশ সদস্য নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রাম এর পক্ষ হতে বলা হয়েছে কোন অবস্থাতেই এই হামলা ও হত্যা মেনে নেওয়া হবে না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে এই হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। হামাস এটাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করলে ও ইসরাইল এটাকে গণহত্যা বলতে নারাজ কারন তাদের ভাষ্য সন্ত্রাসী নিমূলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আবারও এক ফিলিস্তিনি ফুটবলারকে হত্যা করেছে। হামাস নেতারা বর্তমানে কাতার হতে বিমানে ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ধারনা করা হচ্ছে হামাসের সিদ্ধান্ত ওযুদ্ধ বিরতি বিষয়ে নিজেদের মনোভাব ও শর্তেল বিষয়ে কাতার কে অবহিত করার পর এবার তারা ইরাক যাত্রা করছে। ইসরাইলি বাহিনীর মাঝে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে দখলদার বাহিনী বর্তমান সময়ে সেনাদেরকে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করছে।