দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইল সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের সামনা সামনি যুদ্ধের পর এবং তিন ইসরাইলী সেনার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো ইসরাইলী বাহিনীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত রবিবার ইসরাইলের সেনা বাহিনীর কয়েকটি ব্রিডেগ সাজোয়া যান নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করলে গাজার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান রত হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের সেনা বহরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। হামাস যোদ্ধারা এ সময় বিশ্বের অত্যাধুনিক এবং সুরক্ষিত ইসরাইলের ট্যাংকে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করলে মুহুর্তে ট্যাংক ধ্বংস হয় যা হামাস যোদ্ধাদের কেবল বড় ধরনের সাফল্য নয় উক্ত হামলায় ইসরাইলের সেনারা ফিলিস্তীনিদের উপর আক্রমন ভুলে যেয়ে নিজেদেরকে রক্ষায় ইসরাইলের সীমান্তে চলে যায়। রবিবারের হামাস যোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ মুহুর্তের মধ্যে বিশ্ব মিডিয়ায় জায়গা করে নেয়। ইসরাইলী সরকার তাদের ট্যাংক ধ্বংস ও সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছে ফিলিস্তীনিদের হামাস সন্ত্রাসীরা আমাদের সেনা বহরে অতর্কিত হামলা পরিচালনা করে। এদিকে আল আকসা মসজিদ এলাকায় ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনী ও ইসরাইলী পুলিশ অবস্থান নিয়ে চেক পোস্ট বসিয়েছে। খবরে প্রকাশ সত্তর বছরের উর্ধে বয়সীদেরকে কেবল মাত্র ইসরাইলী বাহিনী আল আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করছে। ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধে বারবার যে নাম গুলো উচ্চারন করা হচ্ছে তা হলো ইরান, রাশিয়া এবং চীন উল্লেখিত দেশগুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ফিলিস্তীনিরা স্বাধীনতা কামী সংগঠন হামাসকে সহযোগিতা করে চলেছে। বিশেষ করে হামাস যে রকেট ও ড্রোন ব্যবহার করছে তা ইরানের তৈরী অথবা ইরানের প্রযুক্তি নির্ভর। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের আক্রমন প্রতিহত করতে ইসরাইল বিপর্যস্থ হচ্ছে। খবরে প্রকাশ ইসরাইলের দিকে তাক করে দেড়লাখ রকেট ক্ষেপনাস্ত্র তাক করে করে রেখেছে হিবুল্লাহ যে কোন সময়ে ইসরাইলের জন মানব সমৃদ্ধ জনপদে নিক্ষিপ্ত হতে পারে আর এ নিয়ে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী চরম আতঙ্কে। তবে গাজায় ইসরাইল স্থল অভিযান পরিচালনা করলে তারাও ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে এমন আশঙ্কা করছে খোদ পশ্চিমা বিশ্ব। ইসরাইলের পক্ষ হতে তাদের সামরিক ও বেসামরিক যে সকল ইসরাইলী হামাসের হাতে বন্দী আছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে গাজায় অধিকতর হামলা পরিচালনা করা হবে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা ইসরাইলের আক্রমন অব্যাহত থাকলে এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা প্রয়োগ করলে গাজার নিশ্চিত নিশ্চিহৃ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে হামাসের প্রতিরোধ হামলা ও তাদের হাতে থাকা সামরিক সরঞ্জামের পরিপূর্ণ ব্যবহার ঘটলে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য হয়তোবা প্রদর্শিত হবে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ হামাসের পাশাপাশি লেবানন ভিত্তিক হিযবুল্লাহ ইসরাইলে রকেট হামলা পরিচালনা করছে। গতকাল ও হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। ইসরাইলের অতীতের ইছামত হামলা এবারের হামলায় একত্রীভূত হবে বলে মনে হওয়ার কারন নেই কারন বৃহৎশক্তি রাশিয়া স্পষ্ট ভাবেই বলেছে গাজা উপত্যকা ফিলিস্তীনিদের ঐতিহাসিক ভূমি। ইসরাইলকে কেবলমাত্র হামাস এর সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বা আগামীতে শুধুমাত্র হামাসের সাথে যুদ্ধ করতে হবে তা নয়, হিযবুল্লাহ, ইরান, সিরিয়া ইসরাইলে হামলা পরিচালনা করতে পারে এমন ভাবনা ইসরাইলের থাকতে হবে। গাজায় বর্তমান সময়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, পানি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ। মিশর গাজায় ত্রান সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফিলিস্তীনিদের মানবিক বিপর্যয়ের কবল হতে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে।