দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল কেবল নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তীনিদের উপর নির্মমতা প্রদর্শন বা হত্যাকান্ড করে সফল হচ্ছে তা নয় হামাসের পক্ষ হতে ইহুদীবাদী ইসরাইলের সেনারাও মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। গাজা উপত্যকার সুবিন্যস্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে অবস্থান নিয়ে হামাস যোদ্ধারা প্রতিরোধ হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলের জন্য মরন যন্ত্রনা লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। হামাস যোদ্ধাদের পাশাপাশি ইসরাইলের অভ্যন্তর ভাগে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ব্যাপক ভিত্তিক রকেট নিক্ষেপ করে চলেছে। ইসরাইলের সীমান্ত শহর গুলোতে হামাস ও হিজবুল্লাহ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন করলেও গত কয়েকদিন যাবৎ হিজবুল্লাহ ও হামাস ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সংলগ্ন এলাকা গুলোতে হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইলের নাগরিকরা বর্তমান সময় গুলোতে চরম আতঙ্কে দিন যাপন করছে। ইহুদীরা দলে দলে ইসরাইল ছেড়ে পালাতে চাইছে। বিমান বন্দর গুলোতে প্রচন্ড ভিড়, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কল্যানে বিশ্ববাসি প্রতিনিয়ত আতঙ্কিত ইসরাইলের নাগরিকদের বিমান বন্দরে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। হিজবুল্লাহ ও হামাস যোদ্ধারা দেশটির বিমান বন্দর গুলোতেও রকেট হামলা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন দেশের ভিআইপি অতিথিরাও বিমান বন্দরে অবস্থান কালে রকেট হামলার পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ইসরাইল কর্র্র্তৃপক্ষ যখন সাইরেন বাজিয়ে নিজের নাগরিকদের কে সম্ভাব্য রকেট হামলা তে সতর্ক করে তখন দৃশ্যতঃ ইসরাইলের নাগরিকদের আতঙ্কিত ছোটাছুটির দৃশ্য বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয়। এদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরাইল অনেকটা বিপর্যস্থ ও নিরুপায়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনাথন কনরিকস বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরাইল কে নিয়ে বিপদজনক খেলা খেলছে। তারা ইসরাইলকে উত্তেজিত করে তুলছে। আমরা দেখছি হিজবুল্লাহ প্রতিদিনই ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করছে। ইসরাইল কেবলমাত্র তাকে রক্ষা করতে চাইছে। হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর অব্যাহত হামলার কারনে লেবানন সীমান্ত এলাকা হতে ইসরাইলের অধিবাসিদের সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলী বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা যেমন কয়েক হাজারে পৌছেছে অনুরুপ ভাবে হাজার হাজার ফিলিস্তীনি বাস্তহারা হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে আর আশ্রয়হীন নিরীহ ফিলিস্তীনিদের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতায় ইসরাইল বিমান হামলা পরিচালনা করছে। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মত গত শনিবার গাজায় ত্রানবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। গাজার সাথে সংযুক্ত মিশরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ায় খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী ও পানি নিয়ে ১৭টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী গাজায় বর্তমান যে ভাবে মানসিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং খাদ্য ও পানির জন্য হাহাকার চলছে তাতে প্রতিদিন গাজায় অন্তত একশত ত্রানবাহী ট্রাকের প্রবেশ করা প্রয়োজন। হামাসের পক্ষ হতে আবারও হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে ইসরাইল যদি বিমান হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের হাতে আটক দুইশত সতের জন বন্দীকে হত্যা করা হবে। ইসরাইলের জন্য বর্তমান সময় সর্বাপেক্ষা উদ্বেগের কারন হামাসের হাতে অপহৃত তাদের নাগরিকদের মুক্ত করা। হামাস বলেছে ইসরাইলের কারাগারে আটক হামাসের সদস্যদের মুক্তির বিনিময়ে কেবল তারা ইসরাইলের অপহৃত নাগরিকদের মুক্তি দিতে পারে। ইতিমধ্যে দুই মার্কিন নাগরিককে হামাস সদস্যরা মুক্তি দিয়েছে এবং উক্ত মুক্তি দেওয়ার ভিডিও চিত্র হামাসের পক্ষ হতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরাইল যে কেবল আক্রমন করছে তা নয় হামাস ও হিজবুল্লাহর হামলা হতে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছে ইহুদী বাদী রাষ্ট্র ইসরাইল।