শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন

হামাস কে আবারও আলোচনার প্রস্তাব ইসরাইলের

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ হামাসের শর্ত ছিল গাজা উপত্যকা থেকে অবশ্যই ইসরাইলি সেনাদেরকে প্রত্যাহার করতে হবে। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা ও তা কার্যকর করতে হবে, গাজা হতে বাস্তচ্যুতদেরকে স্ব স্ব বসতবাড়ীতে ফিরতে দিতে হবে। পর্যাপ্ত ত্রান প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি ও ত্রান সরবরাহ ও বিতরনের কোন ধরনের বাঁধা প্রদান করা চলবে না। হামাসের এমন প্রস্তাব মানলেই কেবল যুদ্ধ বিরতি সহ হামাসের হাতে আটক সকল পনবন্দীদেরকে মুক্তি দেওয়া হবে। দখলদার ইসরাইলিকে কাতার ও মিশরের মাধ্যমে এমন বার্তা জানানো হলে ইসরাইল এর নেতানিয়াহু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে এবং যুদ্ধ বিরতি আলোচনা ভেস্তে যায়। দখলদার বাহিনী দ্বিগুন ভাবে গাজায় বিমান হামলা পরিচালনা করতে থাকে ও গণহত্যায় মেতে ওঠে পক্ষান্তরে হামাস যোদ্ধারা বীর বিক্রমে দখলদার বাহিনীকে প্রতিহত করতে থাকে। অন্যদিকে ইসরাইলিদের অব্যাহত বিক্ষোভ আর তাদের নাগরিকদের মুক্ত করার দাবী জানাতে থাকে। এখানেই শেষ নয় দখলদার বাহিনী সাত মাসের অধিক সময় হামলা আর হত্যাকান্ড পরিচালনা করেও গাজা উপত্যকা হতে তাদের পনবন্দীদের উদ্ধার করতে পারেনি। উল্লেখ্য হামাসের হাতে ইসরাইলি পন বন্দীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাশাপাশি ব্যাপক ভিত্তিক উদ্বেগ কাজ করছে যে কারনে সর্বশেষ খবরে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার বাহিনী এবার নিজেরা আগ্রহ প্রকাশ করেছে যে যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে কাতারের মাধ্যমে হামাসের সাথে আলোচনা করতে। ধারনা করা হচ্ছে হামাসের শর্ত মেনেই দখলদার বাহিনী যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় বসতে চলেছে। যুদ্ধ বিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর কাতারের সাথে হামাসের সম্পর্ক অবনতির যে খবরটি প্রচার হয়েছে তার কোন সত্যতা পাওয়া যাইনি। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো প্রচার প্রচারনা চালিয়ে ছিল যে, কাতার সরকার কাতার হতে হামাস নেতাদেরকে বহিস্কার করতে যাচ্ছে ও তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ ঘোষনা করতে যাচ্ছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে খবরটি যথাযথ নয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরদোগান বলেছেন তিনি নিশ্চিত হয়েই বলেছেন হামাস নেতারা কাতারেই অবস্থান করবেন এবং কাতারের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান আবারও ইসরাইল তার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে মধ্য প্রাচ্যের কসাই হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য অবশ্যই নেতানিয়াহুকে করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে একই সাথে তিনি বলেন ইসরাইল ও তার সরকার ইতিহাসের কাছে লজ্জাজনক নাম হিসেবে বিবেচিত হবে। গতকাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ও সমাবেশ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিক্ষোভরত ছাত্রদের উপর লঠিচার্জ করা সহ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। হামাস নিয়ন্ত্রীত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গতকাল পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় পঁয়ত্রিশ হাজার এর কাছাকাছি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার গণকবর গুলোতে গতকালও বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি মায়েরা তাদের নিখোজ ও মৃত সন্তানদের খোজ করতে দেখা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই যুবক এবং তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। দখলদার বাহিনী গতকালও খান ইউনিস ও রাফা শহরে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে। গাজার আশ্রয় শিবির গুলোতে অমানবিক পরিস্থিতির অবতরনা ঘটেছে যা আগামী দিনে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট্য। এদিকে হামাস আবারও অভিযোগ করে বলেছে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের উপর চালানো হচ্ছে যৌন নির্যাতন। হিজবুল্লাহ ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের দুই নাগরিক নিহত হয়েছে। সাগরে হুতি যোদ্ধাদের অপ্রতিরোধ্য হামলা চলছেই। ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ত্রানবাহী গাড়ী প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সতেরটি দেশ পনবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার যে আহবান জানিয়েছেন হামাস তা প্রত্যাখান করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com