দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সাতক্ষীরার আম বলে কথা, সাতক্ষীরার আম জগৎ বিখ্যাত। জেলার ভৌগলিকতা পেরিয়ে, দেশের সীমানা ছেড়ে এই আম বিশ্ব বাজারে আলোকিত আলোচিত। মহাধুমধাম,ব্যস্ততা এবং উৎসবের বরতায় সাতক্ষীলার আম চাষীলা। বাগানে বাগানে চলছে আম ভাঙ্গার কর্মযজ্ঞ, সামান্যতম সময় অপচয় করতে চাইছে না চাষীরা। আম বাগান হতেই ট্রাক, পিকআপ আর ভ্যানভর্তি হয়ে এই আম যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নিলেট, ময়মনসিংহ সহ সব বিভাগ ও জেলায়। মহাধুমঘাম আর আলোর বিচ্ছুরন ঘটানো আম উৎসবের এই মহাক্ষনে যেনহাসছে সাতক্ষীলার আম। অসময়ে অপরিপক্ক আম এবং রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রনের কারনে সাতক্ষীলার আমেরসুনাম নষ্ট হওয়া সেই সাথে মানবদেহের ক্ষতিকর প্রভাব কে রুখতে কর্তৃপক্ষ বরাবরের ন্যায় আম ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করে যাতে প্রথমধাপে ৯ মেহতেআমভাঙ্গার অনুমোদনে গোবিন্দ ভোগ, ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া, এবং ১০ জুন আমরুপালী ভাঙ্গা ও বাজার জাতকরনে অনুমোদন করা হয়। বর্তমান সাতক্ষীরার শতশতআম বাগানের গোবিন্দ ভোগ আম ভাঙ্গা ও বাজারজাত করনের কাজও চলছে। সাতক্ষীরার আম বাজারের সৌন্দর্য আর আলোর দ্রুতি ছড়াচ্ছে বড় বড় গোবিন্দা ভোগ। মৌসুমের প্রথমেই এই জাতেরআমের উপস্থিতি আমচাষী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাসাধারনের মাঝে উচ্ছ্বাসের আবহ ঘটে। এবার সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন না হলেও উৎপাদন যৎসামান্য ওনয়। আম চাষিরা খুশি বিশেষ করে বাজারমূল্য ও কমনয়। প্রতিমন গোবিন্দাভোগ আমপাইকারী ভাবেবিক্রি হচ্ছে প্রতি মহনদুই হাজার পাঁচশত থেকে সাতশত টাকায়। গোবিন্দভোগের পাশাপাশি গোপাল ভোগ,আটির আমের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সাতক্ষীলার আমবাজারে পাইকার ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এলাকার আমব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরার সুলতানপুরের বড় বাজারের পাশাপাশি সদর উপজেলা, কলারোয়া, পাটকেলঘাটা, দেবহাটা, কালিগঞ্জের আমবাগানে চলে যাচ্ছে সরাসরি। সাতক্ষীরা আমবাজারের সুভাষএবং ঘ্রান ছড়িয়ে পড়া আর হাসির এই শুভ ক্ষনে এই জেলঅর আমের সুনাম, সুখ্যাতি আর স্বাদকে বিপর্যস্থ করনে একশ্রেনির অসাধু আম ব্যসায়ী সক্রীয়। আগামী ২২মেহীসাগর আমভাঙ্গার সময় থাকলেও অধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে অসাধু ব্যবসায়ীরা হীমসাগর আম ভাঙ্গায় নেমেছে। হীসাগরে আম গোবিন্দ ভোগ, গোপালভোগ ও আটির আমের সাথে হীমসাগর বাজার জাতকরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। গোবিন্দভোগের ভাঙ্গার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে অনুরুপ ভাবে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজিছিল লক্ষনীয়। সাতক্ষীরার আমের সুনাম এবং সুখ্যাতিবিনষ্টকারী কথিত ব্যবসায়ীদের কেবল অর্থদন্ডই শেষকথানয়কারাদন্ডদন্ডিত করার সময় এসেছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম রাশাহীসহ অন্যান্য এলাকায় আমের সামনে সাতক্ষীরার আমলেখা ব্যানার ঝুলিয়ে তাদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করার খবর নিশ্চই সাতক্ষীলার আমের সুনামের স্বাদের বহিঃপ্রকাশ বিধায় সাতক্ষীর আমের অবস্থান কতটুকু উচ্চতা তা সহজেই অনুমেয়। জেলার আম রাজধানী হিসেবে খ্যাত দেবাহটা উপজেলা বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিদিন পনের বিশটি ট্রাক ভর্তি আম রাজধানী ঢাকা সহ দেশেরবিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। অন্যদিকে জেলার কলারোয়া,পাটকেলঘাটা সদর উপজেলার আমেরবৃহৎ অংশ শহরের বড় বাজারে পাইকারী দরেবিক্রি হচ্ছে আর সিংভাগ ক্রেতাভিন্ন জেলার। সাতক্ষীরার অন্ততচার/পাঁচ হাজার ছোট বড় আমবাগানের আম দৃশ্যতঃ সাতক্ষীরাকে বর্তমান আম নির্ভর অর্থনীতিতে পরিত করেছে। শত সহস্র কর্মজীবি পরিবারের আয়েল প্রধান উৎস আম। এই ব্যবসায় রাজধানী ঢাকাসহ অপরাপর জেলার ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেছে। অন্যদিকে স্থানীয় আমচাষীরা রাজধানী কাওরন বাজার সহ অন্যঅন্য এলাকার আড়ৎ হতে অগ্রিমটাকা (দাদন) নিয়ে চাষকরছে বর্তমানে সেইসব আড়তে আম পাঠাচ্ছে। আম নির্ভলতা তথা আমব্যবসায় যুব সম্প্রদায়ও বেকার লোকজনের বড় অংশ জড়িয়ে পড়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসে আম পাঠানো,পাইকার ক্রেতা সষ্টি,অনলাইনে আম বেঁচাকেনা,বাগান ক্রয় সহ বহুমখি আম সংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে অর্থ উপার্জন করছে। হাসতে থাকা সাতক্ষীরার আমবাজার এবং যেন অবিরাম হাসতেই থাকে,কথিত ব্যবসায়ীরা যেন আমাদের মর্যাদা গর্ব, সম্মান আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিক আমকে কুলষিত করতে না পারে।