এফএনএস: ১৮ দিনের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের দ্যা লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতেই তিনি ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তার কিংস্টনের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়েন। এ সময় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিও সঙ্গে ছিলেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বাসায় গেলেও ডা. প্যাট্রিক ক্যানেডি ও ডা. জেনিফার ক্রসের তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলবে। যুক্তরাজ্য বিএনপি—সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনের কিংস্টনে তারেক রহমানের বাসায় রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাসায় থেকে তিনি যেন চিকিৎসা নিতে পারেন, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য যাতে সুবিধা হয়, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এর আগে খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এভাবে উন্নতি হতে থাকলে দ্রুত দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চলমান থাকবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আথ্রর্াইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির এক মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। কারাগারে যাওয়ার পর তার অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে সরকারের কাছে কয়েকবার দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। করোনার সময় নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি মিললেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর তার যে মামলায় সাজা হয়েছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।