দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরোগাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রতিরোধ হামলার শিকার হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করছে না। গণহত্যা চালাচ্ছে না এব তারাও হতাহতের শিকার হচ্ছে না। দৃশ্যতঃ গাজা উপত্যকার সামগ্রীক বিচার বিশ্লেষন করলে এটা স্পষ্ট হয় যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা মূলত ঃ গাজায় ব্যাপক ভাবে বিপর্যস্থ হচ্ছে। তাদের গর্ব, সম্মান, মর্যাদা আর অহংকারের প্রতিক ট্রাঙ্ক ও সামরিক জান মুহুর্তের মধ্যে হামাস যোদ্ধারা ধ্বংস করে ছাড়ছে। গতকাল গাজা সিটির উত্তর ও দক্ষিন গাজায় দখলদার বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা পরিচালনা করে স্থল অভিযান শুরুর সাথে সাথে হামাস যোদ্ধারা প্রতিরোধ হামলায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে এ সময় অন্ততঃ রুশ দখলদার বাহিনীর সদস্য চরম ভাবে হতাহতের শিকার হয়। হিজবুল্লাহ সদস্যরা ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা অব্যহত রেখে। হিজবুল্লাহ প্রধান হামাস নাসরুল্লাহকে ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগ মোসাদ কর্তৃক হত্যার হুমকি প্রদানের পর হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভূখন্ডে ব্যাপক ভিত্তিক রকেট ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে হিজবুল্লাহর হামলা এতটুকু বিধ্বংসী ছিল যে পুরো তেল আবিব সহ আশপাশের শহর কয়েকঘন্টা যাবৎ জ্বলছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে হিজবুল্লাহর ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরতরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে পুরো ইসরাইল জুড়ে সাইরেন বাজাতে থাকে। বিশেষকরে সীমান্তবর্তী গ্রাম ও শহর গুলোতে হিজবুল্লাহর হামলার তীব্রতা ব্যঅপক ছিল। আলজাজিরা আরো জানিয়েছে হিজবুল্লাহর হামলার কারনে পুরো ইসরাইল যেন জ্বলতে থাকে।গতকালও কোন কোন এলাকা ধোয়ার কুন্ডলী উড়ছিল। এদিকে রাফা শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা চরম অস্বস্তিতে আছে। শহরটির বিভিন্ন অংশে হামাস সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামলা পরিচালনা করতে থাকে। আল জাজিরা টেলিভিশন আরও জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফা শহরের নিকটবর্তী আল জাবালিয়া শরনার্থী শিবিরের আবারও হামলা চালিয়েছে। দখলদার বাহিনীর আশঙ্কা উক্ত আশ্রয় শিবিরটি হামাসের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে অথচ বাস্তবতা হলো বাঁচার আশায় গাজার বিভিন্ন এলাকা হতে বাস্তচ্যুতরা উক্ত আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। দখলদার ইসরাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহবানে সাড়া দিয়ে গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হলেও এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আর একারনে হামলা চলছে তো চলছেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে আবারও বলা হয়েছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি সন্নিকটে। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইল শুনানীর জন্য তার প্রস্তাব পেশ করেছে। উল্লেখ্য এযাবৎ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইল বিশ্ব আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে চলেছে। সাগরে গতকালও হুতি যোদ্ধারা ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়েছে। গাজার খান ইউনিস এলাকাতে আবারও গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। উল্লেখিত গণকবরের পাশে ফিলিস্তিনি মায়েরা ভিড় করছে। রাফা ক্রসিং বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রনে মিশর এবং ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। পুরো গাজা উপত্যকার অধিবাসিরা খাদ্যের অভাবে মৃত্যু মুখ পতিত হচ্ছে।