দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলের হামলায় কেবল হত্যাকান্ড চলছে তা নয়, দখলদার বাহিনী একটি নাতিকে ধ্বংস করতে চাইছে। গতকালও ইসরাইলের হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকাতে ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের আবাসিক ভবনগুলোতে বড় বড় বোমা আঘাতে বিস্তীর্ন এলাকার বসতবাড়ী মাটির সাথে মিশে যায়। ধ্বসে পড়া ভবনগুলোর অভ্যন্তরে ফিলিস্তীনিদের মৃত দেহ বিকৃত ভাবে দেকতে পাওয়া যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে উদ্ধার কারী নেই, কে বা কারা নিহত ফিলিস্তীনিদের উদ্ধার করে লাশ দাফন করবে? ইসরাইল বাহিনী দাবী করেছে তারা পশ্চিম এলাকায় হামলা চালিয়ে হামাসের অন্যতম কমান্ডার কে হত্যা করেছে। ইসরাইল সেনা বাহিনী জানাচ্ছে যে, তাদের হামলায় নিহত হামাস কমান্ডারের নাম আহমেদ আব্দুল্ল০াহ আবু শালাল, ইসরাইলি সেনা বাহিনী আরও বলেছে শালালকে লক্ষ্য করে বিমান হামলাটি ছিল নির্মূল। পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা করে ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ইরসাইলি হামলায় অন্তত একশত ষাটজন ফিলিস্তীনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে অবিলম্বে গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে হবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে ইসরাইলি হামলায় গাজা দৃশ্যতঃ এক শ্মশানে এবং বিপর্যস্থ জনপদে পরিনত হয়েছে নানান ধরনের রোগ বালাইতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে গাজাবাসি। এই মুহুর্তে যদি ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না হয় তাহলে আগমাী দিন গুলোতে ইসরাইলি হামলায় যে পরিমান ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে সে অপেক্ষা অধিক ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরন করবে। গাজায় অন্ততঃ সত্তর ভাগ বসতবাড়ী ধ্বংস হয়েছে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করছে সেই সাথে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে বসতবাড়ী, স্থাপনা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইসরাইলি হামলা হতে গাজার কোন এলাকাই বাদ যাচ্ছে না। এদিকে হুতি যোদ্ধারা দ্বিতীয়বারের মত মার্কিন জাহাজে হামলা চালিয়েছে। গতকাল লোহিত সাগরে হুতি যোদ্ধারা মার্কিন জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালালে জাহাজটি তে আগুন ধরে যায় এবং মার্কিনী জাহাজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে জানাগেছে হুতিদের হামলায় মার্কিন জাহাজে আগুন জ্বলে ওঠে এবং উক্ত আগুন দীর্ঘ সময় যাবৎ জ্বলতে থাকে। পরবর্তিতে জাহাজে অবস্থান ওরা আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষনিক ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হইনি। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার হুতিরা প্রথম বারের মত মার্কিন বানিজ্য জাহাজে হামলা চালায়। লোহিত সাগরে হুতি নৌযান আটক ও উক্ত নৌযান হতে অস্ত্র উদ্ধারের সময়ে মার্কিন নৌ বাহিনীর দুই কমান্ডার নিখোজ হয়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শাখা পেন্টাগন জানিয়েছে তাদের দুই কমান্ডারের নিখোজ হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেছে নিখোজ দুই নৌ কমান্ডারকে উদ্ধারের অভিযান চলছে। এদিকে খান ইউনিসের নিয়ন্ত্রন নিয়ে গতকাল ও ইসরাইলি বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। হামাসের নিজস্ব টেলিগ্রাফ পোস্টে তারা জানিয়েছে যে, খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধারা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করছে দখলদার বাহিনীর অস্তিত্ব ও অবস্থান খান ইউনিসে হতে বিতাড়িত করা হয়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলা এবং প্রত্যাশা কোন অবস্থাতেই পুরন হবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে হামাস যোদ্ধারা লড়ছে প্রিয় জন্মভূমিকে রক্ষা করতে আর দখলদারকে যুদ্ধ করতে দখল করতে প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেকজন হামাস। গাজা হতে হামাস কোন অবস্থাতেই বিতাড়িত হবে না, দখলদার বাহিনী বিতাড়িত হবে। গাজা যুদ্ধ যে বিশ্বময় স্পর্শ করেছে তা বলে দিচ্ছে হুতি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে হামলার পর এবার আবারও মার্কিন যুক্ত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের উপর হামলা চালিয়েছে। গতকাল কোন এক সময়ে মার্কিনী হামলা চলেছে। পশ্চিমা মিডিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের উদ্ধুত করে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের উপর বড় ধরনের অভিযানে অংশ হিসেবেও জাহাজে দ্বিতীয় দফায় হামলার কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে। তবে কোন কোন এলাকাতে হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইরান কর্তৃক সরবরাহ করা হুতিদের অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনা ইরান স্বীকার না করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে বলেছে বড় ধরনের অস্ত্রের চালান জব্দ করা হয়েছে। এদিকে গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার একটি আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে। গতকালও ইসরাইলে বিক্ষোভ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানী শেষ যে কোন সময়ে ইসরাইলের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের রায় ঘোষনা হতে পারে।