শেষ আশাটাও শেষ হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের। আর হয়ত কখনও দেশের হয়ে খেলতে দেখা যাবে না তাকে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে বিসিবিকে তিনটি শর্ত পূরণের দাবি জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে বাস্তবতা মেনে তিনটি শর্তই নাকচ করতে হয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। আর এতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তো বটেই, বাংলাদেশের হয়ে আর কখনও সাকিবকে খেলতে দেখার সম্ভাবনাও নেমে এলো শূন্যের কোটায়। বিলুপ্ত সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে সাকিব পড়েছিলেন রোষানলে। দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েও আসতে পারেননি নিরাপত্তার কথা ভেবে। টেস্ট ও টি—২০ থেকে অবসর নিলেও চেয়েছিলেন ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন। সেই সাথে বিপিএল তো আছেই। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন ছিল দেশে আসতে পারার নিশ্চয়তা। দেশে খেলার স্বাধীনতা ছাড়াও সাকিব চেয়েছিলেন, জব্দ হওয়া তার ব্যাংক একাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। আবার দেশে এলে যেন দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাও পান। বিসিবি সব শর্ত নাকচ করে দেওয়ায়, সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাই সাকিবকে ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ওয়ানডে স্কোয়াড অনুমোদন দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই সিরিজই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের শেষ এসাইনমেন্ট। তাই বলাই যায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সাকিবের খেলা হচ্ছে না। এমনকি শেষ হয়ে যেতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্যারিয়ারও। সাকিবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর তার ব্যাংক একাউন্ট স¤প্রতি জব্দ করা হয়। এতে সাকিবকে আর্থিক দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে। দেশের হয়ে খেলার বিনিময়ে সাকিব তার ব্যাংক একাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করেন বিসিবিকে। তবে সেই শর্ত বিসিবির মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। তাই স্বাভাবিক লেনদেন করতে পারছেন না সাকিব। আবার দেশে এসে আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের বিষয়টিও আপাতত অত্যন্ত দুরূহ।