এফএনএস স্পোর্টস: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি—টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। গতকাল সোমবার টুর্নামেন্টে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম ৩০ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। হার দিয়ে বিপিএল শুরুর পর টানা তিন জয় পেল চট্টগ্রাম। ফলে ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম। ৬ ম্যাচে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট আছে সিলেটের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উসমান খানের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারে ৩২ রানের সূচনা করে চট্টগ্রাম কিংস। ১০ বলে ৭ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের ভিত গড়েন উসমান। ১১তম ওভারে দলের রান ১’শতে নেন তারা। এরমধ্যে ৩২ বলে টি—টোয়েন্টিতে সপ্তম ও চলতি বিপিএলে টানা তৃতীয় হাফ—সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন উসমান। ১১তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এসে উসমান—ক্লার্ক জুটি ভাঙেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৩ রান করা উসমানকে শিকার করেন আরিফুল। দলীয় ১শ রানে উসমান ফেরার পর চট্টগ্রামের রানের চাকা সচল রাখেন ক্লার্ক। আরিফুলকে ছক্কা মেরে ২৮ বলে টি—টোয়েন্টিতে ১৬তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন ক্লার্ক। ১৬তম ওভারে ক্লার্ককে থামান স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্লার্ক। এরপর স্লগ ওভারে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ও হায়দার আলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয়বার ২শ রান স্পর্শ করলো চট্টগ্রাম। শেষ ৪ ওভারে ৫১ রান তুলে তারা। ২টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৮ রানে থামেন মিথুন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন হায়দার। তানজিম ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। ২০৪ রানের বড় লক্ষ্যে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় সিলেট। পল স্টার্লিংকে খালি হাতে বিদায় দেন স্পিনার নাবিল সামাদ। ন্টার্লিংয়ের পর আরও ২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তুলে সিলেট। আগের ম্যাচে দলের জয়ে অবদান রাখা জাকির হাসান ২৫ ও ওপেনার রনি তালুকদার ৭ রানে আউট হন। ভালো শুরু করেও ২টি চারে ১৫ রানে থামেন অ্যারন জোন্স। ১১তম ওভারে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। পঞ্চম উইকেটে ২৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো জুটিতে দলকে লড়াইয়ে ফেরান জর্জ মুনসি ও জাকের আলি। ৩৬ বলে টি—টোয়েন্টিতে ১২তম হাফ—সেঞ্চুরি তুলেই পেসার খালেদ আহমেদের শিকার হন মুনসি। ৪টি করে চার—ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রান করেন মুনসি। মুনসির ফেরার পর সিলেটের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন জাকের। কিন্তু আস্কিং রেটের সাথে পাল্লা দিতে পারেননি তিনি। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে ম্যাচ হারে সিলেট। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৩ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। চট্টগ্রামের মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩টি ও আল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্লার্ক।