এফএনএস: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা ব্যাংকখাতে দেখতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা অনুসন্ধানে ব্যাংক পরিদর্শনে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে দুর্বল ১০টি ব্যাংক। গতকাল বৃস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি। আমাদের পদক্ষেপের কারণে ইতিবাচক ধারা আসতে শুরু করেছে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। এদিকে রেমিট্যান্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে, আমদানি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনাস্থার বিষয়টি সবার জানা। তবে এটা যাতে ব্যাংকখাতে না হয় সেজন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা আগে ব্যাংকগুলোয় আস্থা আনতে কাজ করছি। ব্যাংকের পরই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হাত দিতে চাই। টাকা পাচার নিয়ে তিনি বলেন, আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং নিয়ে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো অনিয়ম হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহম্মেদ জামাল, কাজী সাইদুর রহমান, একেএম সাজেদুর রহমান খান, আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এদিকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সেই ব্যাংকগুলোর নাম জানানো হয়নি। গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধের পক্ষে না, আমানতকারী যেন তার টাকা ফেরত পান সেটা নিশ্চিত করতে চাই। সব ব্যাংক ব্যবসা করবে, লাভ করবে, বাজারে টিকে থাকবে, এটা আমরা চাই।