এফএনএস বিদেশ : বহুবার সংস্পর্শে আসার পরও বিয়ের ১০ মাস পর এক তরুণী জানতে পেরেছেন, তার স্বামী আসলে একজন নারী। ইন্দোনেশিয়ার ওই তরুণী এনএ নামে পরিচিত। তার বয়স ২২ বছর। তার ছদ্মবেশী ওই স্বামী নিজেকে আহনাফ আরাফিক নামে পরিচয় দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্নায়ু বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন বলে দাবি করেন। এনএ ও আহনাফের প্রথম পরিচয় হয় একটি ডেটিং অ্যাপে। সম্পর্ক হওয়ার পর এনএ ও আহনাফ সরাসরি দেখা করেন এবং তারা ইন্দোনেশিয়ার জামবি শহরে এক সপ্তাহ একসঙ্গে ছিলেন। সে সময় এনএর বাবা-মার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তারা যতœ নিয়েছিলেন। ডেটিংয়ের এক সপ্তাহ পর এনএর বাবা-মার সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। চার মাস না যেতেই এনএর পরিবার ওই ছদ্মবেশী স্বামীকে নিয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে। আহনাফ তার নিজের পরিবারের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন এবং নিজেকে দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে দাবি করতেন। এ বিষয়ে এনএর মা আহনাফের চলাচলে নজর রাখতেন। দেখা যেত, আহনাফ বাসায় সবসময় পুরো শরীর ঢেকে রাখতেন। এরপর এনএ একদিন খেয়াল করলেন তার স্বামীর স্তন আকারে একটু বড়। আহনাফ তখন বলেছিলেন, এটি তার হরমনজনিত সমস্যা। একদিন আহনাফের শাশুড়ি তাকে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন। আহনাফকে প্রমাণ দিতে হবে, সে আসলেই পুরুষ কি না। তিনি তখন প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেন। আহনাফ জানান, তিনি একজন নারী। তার নাম ইরানি। তার শিক্ষা ও পেশার বিষয়েও মিথ্যা বলেছেন।পরে প্রতারণার বিষয়টি জামবি জেলা আদালতে গড়ায়। এনএ জানান, তিনি কখনো ভাবেননি তার স্বামী একজন নারী। তার মা সন্দেহ করার পর তিনি তা বুঝতে পেরেছেন। এনএর ভাষ্য, পরিচয়ের পর থেকে আহনাফ তার কাছ থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাকে নদীতে ঝাঁপ দিতেও বলা হয়েছিল। এনএর মতে, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নদীতে ঝাঁপ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন এনএ বুঝতে পারেননি ছদ্মবেশী স্বামী আসলে একজন নারী। এর উত্তরে তিনি বলেন, সংস্পর্শে যাওয়ার আগে তার স্বামী ঘরের আলো নিভিয়ে দিতেন ও তার (এনএ) চোখ বেঁধে ফেলতেন। তিনি আরও জানান, তারা বহুবার ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু সব সময় তার স্বামী শুধু হাত ব্যবহার করতেন। সূত্র: ডেইলি মেইল, জিও নিউজ