এফএনএস: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে দুটি মিল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৩টি মিলের জন্য দ্বিতীয় ইওআই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ৫৩টি প্রস্তাব এসেছে। গতকাল সোমবার নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জুট মিলস্ লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আবদুর রউফ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খানসহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি: নরসিংদী ও কেএফডি জুট মিলস্ লি: চট্টগ্রাম- এ দুটিকে এরইমধ্যে ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অপর দুটি জুট মিল (ক্রিসেন্ট জুট মিলস্ লি:, খুলনা ও হাফিজ জুট মিলস্ লি:, চট্টগ্রাম এর লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও ১৩টি মিলের জন্য পাওয়া ৫৩টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে মূল্যায়ন কমিটি একটি প্রতিবেদন বিজেএমসিতে দাখিল করেছে। বিজেএমসি মূল্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরএফপি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এ পর্যায়ে আরও কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ দেওয়া সম্ভব হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ জুলাই হতে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৫টি জুট মিলের সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি (চাকরি ছাড়ার পর এককালীন অর্থ), পিএফ (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ও ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এছাড়াও যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।