এফএনএস: চাল, ডাল, চিনিসহ ১৯টি নিত্যপণ্যের প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত ২০১০ সালের আইনে সব পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটজাত ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯টি পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করার কথা বলা হয়। পণ্য আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু সে আইন অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের প্যাকেজিংয়ে পলিথিন জাতীয় ব্যাগ ব্যবহার করছেন বলে গত ২৬ মে বাংলাদেশ জুট মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে পাটের ব্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত আইনের ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।