এফএনএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গতকাল ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে অবশিষ্ট গ্যাস আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ইউরোপ এখনও আংশিকভাবে নির্ভরশীল থাকলেও ইইউ বলছে, এই নির্ভরতাকে দ্রæতই শেষ করতে হবে। ইইউ’র জ্বালানি বিষয়ক কমিশনার ড্যান ইয়র্গেনসেন বলেন, ‘আজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে-আর না, আর কখনো নয়। আমরা রাশিয়াকে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ আর দেব না।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর ঘোষণা দেন। ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ধীরে ধীরে রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর পথে হাঁটে। যদিও কয়লা ও তেলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে, গ্যাসের আমদানি-বিশেষ করে পাইপলাইনের গ্যাস এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-আজও কিছু সদস্য রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। রাশিয়া এই নির্ভরতাকে ইউরোপের ওপর চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে ইইউ নেতারা বারবার অভিযোগ করে আসছেন। নতুন এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো-জ্বালানির জোগান বহুমুখীকরণ, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রসার এবং সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি সংহতকরণে দ্রæত অগ্রগতি সাধন। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে ইউরোপীয় জ্বালানি নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বাধিকার আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।