এফএনএস: দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে ফের কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও গতকাল শুক্রবার তা কিছুটা বেড়েছে। এদিন সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। গতকাল শুক্রবার দেশের ২৭ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ বয়ে যা”িলছ। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কিছুটা কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিলা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকা থেকে এ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান বজলুর রশিদ। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ফের কমতে পারে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সকালের দিকে মিলেছে সূর্যের দেখা। এতে করে বয়ে চলা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এখন মৃদুতে পরিণত হয়েছে। কিছুটা স্বস্তিতে বিপাকে পড়া ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।