এফএনএস বিদেশ : ৩৪ গ্রাম ওজনের একটি বিরল গোলাপি হীরা পাওয়া গেছে আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলায়। এটি গত ৩০০ বছরের মধ্যে পাওয়া সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরা বলে মনে করা হচ্ছে। ১৭০ ক্যারেট পাথরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুলো রোজ’। অ্যাঙ্গোলার যে খনি থেকে এটি পাওয়া গেছে তা থেকেই এ নাম রাখা হয়েছে। এটি ১৮৫ ক্যারেটের দরিয়া-ই-নূরের পর থেকে পাওয়া বৃহত্তম গোলাপি হীরা বলে মনে করা হয়। দরিয়া-ই-নূর আরো একটি বড় পাথর থেকে কাটা হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এটি রয়েছে ইরানের সাবেক রাজপরিবারের মুকুটের মধ্যে। ‘লুলো রোজ’ একটি টাইপ ২এ হীরা। এর অর্থ, এতে খুব কম ত্র“টি রয়েছে বা আদৌ নেই। এটি অ্যাঙ্গোলার লুলো খনি থেকে পাওয়া পঞ্চম বৃহত্তম হীরা। এ খনিটি অস্ট্রেলিয়ার লুকাপা ডায়মন্ড কম্পানি এবং অ্যাঙ্গোলা সরকারের যৌথ উদ্যোগ। এ ধরনের বিরল গোলাপি হীরা অতীতে কয়েক কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছে। ‘পিংক স্টার’ নামে পরিচিত একটি হীরা ২০১৭ সালে হংকংয়ের এক নিলামে সাত কোটি ১২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। তবে সূ² গহনা বিশেষজ্ঞ জোয়ানা হার্ডি বলেছেন, কেটে ও পালিশ করে সঠিক আকার না দেওয়া পর্যন্ত লুলো রোজের দাম কতটা পাওয়া যাবে তা অনুমান করা অসম্ভব। গোলাপি হীরা অত্যন্ত বিরল। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো হয় খুব শক্ত। এতে হীরাগুলো কেটে আকার দেওয়া কঠিন কাজ। বিশেষজ্ঞ জোয়ানা হার্ডি বলেন, পাথরটি জনসাধারণের সামনে যাওয়ার বা নিলামে ওঠার সম্ভাবনা কম। কারণ খুচরা বিক্রেতাদের হাতে এমন সব ধনী ক্রেতা থাকেন যারা বিরল হীরা লুফে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিচিত গোলাপি হীরা হচ্ছে ভারতে পাওয়া যাওয়া ১৮৫ ক্যারেটের দরিয়া-ই-নূর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আরো বড় পাথর থেকে কাটা হয়েছিল। সব রং মিলিয়ে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় হীরা হলো কুলিনান হীরা। ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ৩১০৭ ক্যারেট ওজনের (আধা কেজিরও বেশি) এই হীরাটি কেটে ১০৫টি টুকরা করা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে কুলিনান ১। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ক্লিয়ার কাট’ হীরা। কুলিনান ১ যুক্তরাজ্যের রাজমুকুটের অংশ। সূত্র : বিবিসি