এফএনএস স্পোর্টস: ইনিংসের শেষ ওভার, সেঞ্চুরি ছুঁতে তখনও আসিফ খানের চাই ১০ রান। নেপালের সমপাল কামিকে টানা ছক্কা-চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছে গেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যান। গড়লেন ওয়ানডের বেশ কিছু রেকর্ড। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ-২ এর ম্যাচে বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আসিফ। ৪২ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ১১ ছক্কা ও ৪টি চারে। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে আসিফ পা রাখেন ৪১ বলে। এই সংস্করণে আমিরাতের হয়ে যা দ্রæততম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে গেল আগের রেকর্ডটি; বুধবার পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ১১৯ রানের ইনিংস খেলার পথে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যেও আফিসের ৪১ বলের সেঞ্চুরিটি রেকর্ড। আগের দ্রæততম শতকে ছিল দুজনের নাম। ওয়াসিমের আগে নেপালের বিপক্ষে ২০২১ সালে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওমানের জাতিন্দর সিং। সব মিলিয়ে ওয়ানডের চতুর্থ দ্রæততম সেঞ্চুরিয়ান আসিফ। রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ¯্রফে ৩১ বলে শতক করেন তিনি। পরের দুই স্থানে নিউ জিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন (৩৬ বলে) ও পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি (৩৭ বলে)। আসিফ সেঞ্চুরিটি করেন ৭ নম্বরে নেমে। ওয়ানডেতে এই পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি আছে ২৪টি। যার মধ্যে শতক ছুঁতে সবচেয়ে কম বল লেগেছে আসিফেরই। ৭ নম্বরে আগের দ্রæততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল মইন আলির। ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৫৩ বলে তিন অঙ্কে পা রেখেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার। কীর্তিপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আমিরাত ১৭৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারালে ক্রিজে যান আসিফ। ৩৮তম ওভারে মাঠে নেমে শুরুতে বলের সঙ্গে রান বাড়ান তিনি। ৪৫ ওভার শেষে তার রান ছিল ২২ বলে ২২। গুলশান ঝা-কে টানা দুই ছক্কায় ডানা মেলে দেন ৩৩ বছর বয়সী আসিফ। পরের ওভারে সমপালকে ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ৩০ বলে ফিফটিতে পা রাখেন তিনি। ফিফটির পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন আসিফ। পরের পঞ্চাশ রান তোলেন ¯্রফে ১১ বলে। গুলশানকে পরপর দুই ছক্কার পর সন্দিপ লামিছানেকে ওড়ান টানা চারটি ছক্কায়। শেষ ওভারে সমপালকে ওই দুই বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আসিফ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে শতক করার সুযোগ ছিল ভ্রিতিয়া অরভিন্দের সামনে। কিন্তু ইনিংসের শেষ তিন বলে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। আউট হয়ে যান ২ ছক্কা ও ৮ চারে ১৩৮ বলে ৯৪ রান করে। আসিফ-অরভিন্দ ষষ্ঠ উইকেটে তোলেন ১৩৫ রান। এই জুটিতে আমিরাতের হয়ে যা সর্বোচ্চ। ষষ্ঠ উইকেটে একশ রানের জুটিও ছিল না তাদের। তাদের দারুণ দুটি ইনিংসের সঙ্গে ৬ ছক্কা ও ২ চারে ৬৩ রান করেন ওপেনার ওয়াসিম। এতে ৬ উইকেটে ৩১০ রানের পুঁজি গড়ে আমিরাত, ওয়ানডেতে যা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নামিবিয়ার বিপক্ষে ২০২২ সালে করা ৩ উইকেটে ৩৪৮ রান রেকর্ড।