এফএনএস: দেশের চার বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার শরতের দ্বিতীয় মাস আশ্বিনের ১০ তারিখ ছিল। এদিন রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট- এ চার বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এরই মধ্যে গত শনিবার সকাল থেকে গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বরিশাল বিভাগ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। তবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে বৃষ্টি। এদিকে গতকাল রোববার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা। গত শনিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এসময় দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান তিনি। আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান বজলুর রশিদ। গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। গতকাল রোববার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে, ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল­া, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।