পরে নকিপুরের জমিদার হরিচরণ বাবুর জীবদ্দশায় বাং ১৩০০ সাল থেকে ১৩২০ সালের মধ্যে সুন্দরবনের কোল ঘেষা পার্শ্ববর্তী এলাকা নৈকাটি, কৈখালী, শোলখালী, রমজান নগর, ধূমঘাট, হরিনগর, যতীন্দ্রনগর (মুন্সিগঞ্জ) বুড়িগোয়ালিনী, দুর্গাবাটী, পোড়াকাটলা, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন গাবুরা, বেদখাশি, বড় বাড়ী থেকে আরম্ভ করে দক্ষিন দিকে গ্রাম গঞ্জ সমূহ আবাদ হয়। বার ভূঁইয়ার আমল শেষে ইংরেজ শাসনামলে বা জমিদারী আমলে যে এলাকায় যে জমিদার ছিল তাদের দ্বারা সুন্দরবন এলাকার বেড়ী বাঁধ নির্মান, প্রজা বসতি, প্রজাদের দ্বারাই বাঁধ বন্ধী রক্ষা এবং যার জমির পাশে যতটুকু নদী চর তাকে ততটুকু বেড়ী বাঁধ দিয়ে লোনা জল থেকে আবাদী জমিকে রক্ষা কারার আপ্রাণ চেষ্টা চলতো। তখন বরকন্দাজ, সাধারণ প্রজা এবং গ্রাম্য মোড়ল মাতব্বরদের ডেকে নিয়ে এই বাঁধ সংরক্ষন করতো। গ্রামের সকলে মিলে একত্রে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করাকে খেলো দেওয়া বলতো এবং বেড়ী বাঁধকে তখনকার লোক ভেড়ী বলতো। ভেড়ী গুলি সাধারণ ৯-১০ ফুট তলা ৪/৫ ফুট উপরের অংশ এবং ৬/৭ ফুট উচু ছিল। নদীর চরে অর্থাৎ বাঁধের বাহিরে প্রচুর পরিমান গেউয়া, কেওড়া, বাইন, কাকড়া, হরকচা গাছ ছিল। আর এ পাড়া থেকে ও পাড়া যাওয়ার যে সমস্ত রাস্তা ঘাট ছিল তা আরও ছোট। তাকে ছিলে বলা হত। এভাবে রনজিত পাল চৌধুরী পিং বিপ্রদাস পাল চৌধুরী কৈলেশগঞ্জ এলাকা আবাদ করেন। বাজুয়া রামপাল মঙ্গলা (বন্দর) স্ব স্ব এলাকার জমিদারগণ আবাদ করেন। পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে বাজুয়ার নামকরা ব্যক্তিত্ব সুরেন বাবু দাকোপ বাজুয়া রামনগর এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন।