এফএনএস: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা আহত হয়েছেন এবং ফায়ারম্যান ও পুলিশ উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছে। এরইমধ্যে তদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখনো এখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। অতএব স্থানটি এখনো নিরাপদ না। আশা করছি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো। আইজিপি বলেন, সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএম ডিপোতে দুর্ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ব্রিফিং সেন্টার খুলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার সেন্টারের সামনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তারা এ বুথ চালু করে। এর আগে কনটেইনার ডিপোর আগুন ৬১ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলছে, এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকান্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪১। আর মঙ্গলবার আরও দুজনের মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।