এফএনএস বিদেশ: জাতিসংঘ, ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে চায় তুরস্ক। এর আগেও এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকা পালন করেছে তুরস্ক। এখনো অবরুদ্ধ কৃষ্ণসাগর। হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য নিয়ে আটকে বহু জাহাজ। মূলত দুইটি কারণে জাহাজগুলি কৃষ্ণসাগর দিয়ে যেতে পারছে না। এক, রাশিয়ার অবরোধ এবং দুই ইউক্রেনের মাইন। রাশিয়ার দাবি, সমুদ্রে মাইন ছড়িয়ে রেখেছে ইউক্রেনের সেনা। সে কারণেই তারা ওই রাস্তায় অবরোধ তৈরি করেছে।কিন্তু এর ফলে খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে চায় তুরস্ক। এর আগে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তুরস্ক। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। এবার জাতিসংঘকেও সঙ্গে রাখতে চাইছে তারা। কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশস্য কীভাবে বাইরে বার করা যায়, তা নিয়ে জাতিসংঘ একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। সেই পরিকল্পনা নিয়েই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাশিয়ার জর্জিয়া ঢাল রাশিয়ার শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের মূল প্রতিনিধি ডেভিড আরাখামিয়া। গত বুধবার তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে রাশিয়ার একাধিক সংস্থা এবং ব্যক্তি। তারা জর্জিয়ার ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করছেন। আরাখামিয়ার বক্তব্য, ওই সংস্থা বা ব্যক্তিরা প্রথমে ইন্টারনেটে একটি নতুন কোম্পানি তৈরি করছে। তারপর জর্জিয়ার ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে জর্জিয়াতেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করছে। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই তারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করছে। ওয়াশিংটনকে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন। মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন যেতে নিষেধ স¤প্রতি দুই মার্কিননাগরিককে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। তারপরেই একটি বিবৃতি জারি করেছে অ্যামেরিকা। মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই দুই মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরানোর জন্য আমেরিকা সবরকম ব্যবস্থা করবে। আরও এক বিলিয়ন মার্কিন সহায়তা ইউক্রেনকে আরও এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র এবং অন্যান্য সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যামেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে জানিয়েছেন, ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের নাগরিক এবং যোদ্ধাদের সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা। সেকথা মাথায় রেখেই নতুন সাহায্য ঘোষণা করা হচ্ছে। হাউইৎজার, অ্যান্টি শিপ মিসাইল-সহ একাধিক অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মানবিক সাহায্যও করা হবে। জল, খাবার, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করা হবে ইউক্রেনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মানুষকে।