বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বিশ্ব ব্যবস্থায় নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিশ্বের দেশে দেশে লাল সবুজের দেশটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সাথে নিজেকে একাত্বতা ঘোষনা করেছে। আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ। দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের ছয় ঋতু পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন ঘটে চলেছে। কোন কোন ঋতু তাই জনজীবনের জন্য অস্বস্তির কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম আর সুখ্যাতির যেমন শেষ নেই অনুুরুপ ভাবে জলবায়ূ ও ঋতু পরিবর্তনের কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য অবশ্য ঋতু পরিবর্তনের কারনে যে বিঘœ ঘটছে তা নয় যানবাহনের কালো ধোয়া আর হর্ণের বিকট শব্দ ও পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে মৌসুমী বায়ূ প্রবাহীত হয়ে থাকে আর এই মৌসুমী বায়ূর কল্যানে দেশের আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকে, দেশের নদ নদী গুলোর স্বাভাবিক নাব্যতার বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলেখ্য, আমাদের দেশের নদ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভাবে কাঙ্খিত। সারাদেশ নদ নদী দ্বারা বেষ্টিত আর নদ নদীর স্বাভাবিকতা পরিবেশের জন্য কেবলমাত্র উপযোগী তা নয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশের প্রভাব বিশেষ ভাবে কাঙ্খিত, দেশের বনভূমি এবং বৃক্ষলতা পরিবেশের স্বাভাবিকতা রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর, বিধায় কোন অবস্থাতেই বৃক্ষলতা নিধন করা যাবে না। বনাঞ্চল বা বনভূমি নিধন করা হতে বিরত থাকতে হবে। পাহাড় পর্বত ও পরিবেশের জন্য অতি অপরিহার্য এই কারনে পাহাড়ের জন্য যতœশীল হতে হবে। পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার আওয়াজ তুলতে হবে, দেশের আনাচে কানাচে পুকুরের সংখ্যা ছিল অত্যাধিক কিন্তু সা¤প্রতিক সময় গুলোতে পুকুরের অস্তিত্ব বিলোপ হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় পরিবেশ রক্ষায় কাজ চলছে, আগামী দিন গুলোতে পরিবেশ রক্ষার কর্মযজ্ঞ অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা।