গাবুরা প্রতিনিধি \ গাবুরায় সুন্দরবন সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মশিউর রহমান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইব্রাহিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ২টায় গাবুরার পাশ্বেমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় এক নারীসহ উভয় পক্ষের ১৭ জনকে শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জানা যায়, রোববার সকালে কপোতাক্ষ নদীতে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হালিম, মুকুল, আব্দুর রাজ্জাক সরদার ও আব্দুর রউফসহ ইউপি সদস্য মশিউর রহমানের কয়েকজন সমর্থক কবিরুল ইসলাম নামে এক জেলেকে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন ১০-১২ জন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কবিরুলকে মারধরের প্রতিবাদ জানায়। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা ও পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর বুড়িগোলয়ালীনি নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় প্রতিপক্ষের ছোড়া ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ইব্রাহিম গ্রুপের মুজিবর খান (৪৫), আবুল কালাম (৪০), জাহিদ হাসান, (২৩), দিদারুল ইসলাম (৩২), সিরাজুল ইসলাম (২৮), আবু সুফিয়ান (৩২), আছাদুল ইসলাম (২১), আব্দুল মান্নান মোল্যা (৫২) ও মশিউর গ্রুপের তৈয়েব আলী (২৫), হালিমা বেগম (৪৫), সফিকুল (২৮), শাহানুর (৩৮), কোহিনুর (৩৫), মোজাহিদ (২৪), এজারুল (২৬) সহ অন্তত ১৭ জন আহত হন। তবে মারাত্বকভাবে আহত হালিমা বেগম, তৈয়েব ও মুজিবর খানসহ কয়েকজনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে মশিউর রহমান জানান, বিনা উস্কানিতে ইব্রাহিমের লোকজন তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করে। এসময় গ্রামবাসী বেরিয়ে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তার ৮-৯ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। ইব্রাহিম হোসেন জানান, তার কর্মীকে মারধরের বিষয়ে জানতে গেলে মশিউরের লোকজন তাদেরকে আহত করেন। পরবর্তীতে সে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। তারও ৭-৮ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে।