এফএনএস স্পোর্টস: আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল ব্রাজিল। ২০০২ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ জেতা হয়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। এবার তারা নিজেদের ‘হেক্সা মিশন’ সফল করতে মুখিয়ে আছে। দলের সবাই জানে, সুপারস্টার নেইমারকে নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার এটাই সর্বশেষ সুযোগ। তাই কাতার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ব্রাজিল কোচ তিতে। সন্দেহবাদীদের সংশয় দূর করে দিয়েই নেইমারদের বিশ্বসেরা করতে চান এই খ্যাতিমান কোচ। গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিতে বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি, এখন সময় ফাইনালে ওঠার, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এটাই সত্যি। এর আগের বিশ্বকাপের আগে আমি পুরো মেয়াদে কাজ করার সুযোগ পাইনি। এবার পুরো চার বছরের চক্রজুড়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যাশা অনেক বেশি, কিন্তু আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেখানোর মতো ফলাফল আছে। মানুষ কী চায়? বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছি আমরা। টানা ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও আমাদের দখলে। ‘তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আমার অধীন টানা ১২ ম্যাচ, এ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে টানা ১৭ ম্যাচ, মোট ২৯ ম্যাচে আমরা হারের মুখ দেখিনি। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইপর্ব খুব কঠিন। ১৭ ম্যাচে মিলিয়ে আমরা আর্জেন্টিনার চেয়ে ১৩ গোল বেশি করেছি। ফিফা র্যাংকিংয়েও আমরা সবার সেরা। ২০১৯ কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আমরা। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতে রানার্সআপ হয়েছি। সেবার জিততে না পারলেও আমাদের পুরো প্রক্রিয়াই বোঝা গেছে। বাছাইপর্বের ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই কোনো গোল হজম করিনি, প্রতি ম্যাচে গড়ে আড়াইটা করে গোল করেছি। ‘ব্রাজিলকে সবাই ‘হিংসা করে’ জানিয়ে তিতে বলেন, ‘একটা গল্প বলি। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর ইতালির এক কোচ মিরান্ডাকে উপহাস করেছিল। সে বলেছিল, “বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে কেমন লাগে?” আমি এটা মিরান্ডার কাছ থেকে শুনেছিলাম, এরপর মিরান্ডাকে বলেছিলাম, বিদায় নিতে কেমন লাগে- এটা ওই কোচ বুঝবে না, কারণ সে কখনো ব্রাজিলের মতো দলের কোচ ছিল না, এমনকি নিজের দেশেরও কোচ ছিল না। এটাকেই বলে হিংসা। এরকম অনেক মানুষই ব্রাজিলকে হিংসা করে। কিন্তু তারা সেটা স্বীকার করতে চায় না। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলকেই হিংসা করা হয়। ‘