শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

অবৈধ পাকা স্থাপনায় \ ম্যাপ ও নকশা অনুযায়ী গৌর চন্ডি খাল খননে বাধা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সীমানা বরাবর বয়ে যাওয়া গৌর চন্ডি খালের ভরাটি অংশের উপর নির্মিত একাধিক অবৈধ পাকা স্থাপনার কারনে ম্যাপ ও নকশা অনুযায়ী খাল খননে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের মজগুরখালী গ্রামের অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন দেবহাটা এলাকার প্রভাবশালীদের কারনে খালের দেবহাটা পারের অবৈধ স্থাপনা বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য এপারের রেকর্ডিও সম্পত্তির উপর দিয়ে খাল খনন করছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জি: হাসানুজ্জামান রুমান। তবে তিনি বলেন, দেবহাটা পারের বড়শান্তা গ্রামের গফুর শেখের বসত বাড়ির পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের তাগিত দিলে খালের দুই পারের ২জন ইউপি সদস্য বদরতলা গ্রামের সুভাষ মন্ডল ও ইউপি সদস্য বড়শান্তা গ্রামের নজরুল ইসলাম অবৈধ পাকা স্থাপনা না ভেঙে বিপরিত দিকে অর্থাৎ আশাশুনির মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। যার কারনে আমাদের খনন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ আছে। মজগুরখালী গ্রামের মৃত কালিপদ মিস্ত্রীর স্ত্রী জানান, উপরের মহলের চাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন খাল ধারের বড়শান্তা গ্রামের গফুর শেখের পাকা ঘরবাড়ি উচ্ছেদ না করে আমার রেকর্ডিও সম্পত্তির উপর দিয়ে খাল খননের জন্য পাঁয়তারা করছে। এছাড়া গ্রাম ডাক্তার দীপঙ্গক মন্ডল জানান, তার রেকর্ডিও সম্পত্তির উপর দিয়ে খাল খনন করে খালের বিপরীতে খাস জমি বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে তারা। ১কোটি ১১লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে ৪কিলোমিটার গৌর চন্ডী খাল খনন প্রকল্গের হাফ কিলোমিটার খনন কাজ সম্পন্ন হলেও খননকৃত খালের প্রস্থ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন দেখা গেছে। খালের খনন কাজের কারনে আশাশুনির পারের মজগুরখালীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কার্পেটিং রাস্তায় একটি স্থানে ইতিমধ্যে কার্পেটিংসহ একটি বড় অংশ ভেঙে বসে গেছে এবং একাধিক স্থানে বসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অসীম সিংহ লিঃ এর মালিক সনেট হালদার বলেন, খাল খননের স্টিমেটে খালের প্রস্থ ৪০ থেকে ৬০ ফুট করার কথা। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। ভরাটি খালের উপর একটি অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ কেন্দ্রিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সময় সাপেক্ষ সমাধানের আশ্বাসে আমদের খনন কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমার নকশা অনুযায়ী খাল খননে বাধা আসলে সেটি উপেক্ষা করেই খাল খনন হবে তা না হলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমি বারবার উচ্ছেদের তাগিত দিলেও ঘর মালিক সময় ক্ষেপন করছে। খাল খননের কারনে ভেঙে বসে যাওয়া কার্পেটিং রাস্তা সংস্কার করে দেয়া হবে। ম্যাপ ও নকশা অনুযায়ী খাল খননের লক্ষে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com