এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে স্বামীর ঘর সংসার ভেঙ্গে প্রেমের টানে গত ৩ মাসে ৩৫ জন গৃহবধু তাদের প্রেমিকদের সাথে উধাও হয়েছে। এঘটনায় স্ত্রীর খোঁজে স্বামী ও মায়ের খোঁজে সন্তানরা আইনের দুয়ারে পথে প্রান্তরে খুজে বেড়াচ্ছে দিনের পর দিন। এব্যাপারে এলাকা ঘুরে তথ্য অনুসন্ধানে এবং একাধিক ব্যক্তিসহ ঐ সমস্ত পরিবারের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত তিন মাসে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া গ্রামের মাদুর ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ এর স্ত্রী চামেলী রায় রাতে স্বামীসহ সন্তানদেরকে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে নগদ টাকা সহ স্বর্ণালংকার নিয়ে পাশ্ববর্তী প্রেমিক বাদলের সাথে প্রেমের টানে প্রেম সাগর পাড়ি দিয়েছে। এছাড়াও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আদালতপুর গ্রামের এরশাদের স্ত্রী এক সন্তানের জননী প্রেমের টানে পাশ্ববর্তী গ্রামের নজিরউদ্দীন শেখের পুত্র শামিম শেখের সাথে সকলের অজান্তে স্বামীর সংসার ভেঙ্গে প্রেম সাগর পাড়ি দিয়েছে। বড়দল মধ্যম পাড়া গ্রামের গোলাম রসুল গাজীর স্ত্রী তাজমিরা আক্তার, আনুলিয়া ইউনিয়নের বলভপুর গ্রামের ছাত্তার গাজীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী, আনুলিয়া ইউনিয়নের বলভপুর দাশ পাড়া অলক দাশের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী, বলভপুর গ্রামের মিলনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী, রাজাপুর গ্রামের হামিদ গাজীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী, বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর গ্রামের সাহাবুদ্দীন গাজীর স্ত্রী চার সন্তানের জননী, শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামের মাজেদ গাজীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীসহ প্রতিদিন এধরনের অভিযোগ আশাশুনি থানায় জমা পড়ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ইতিমধ্যে অনেক চলে যাওয়া গৃহবধুদেরকে উদ্ধার করে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বামীর ঘরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। আবার অনেক গৃহবধু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলেও স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে যার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের টানে উধাও হয়ে গিয়েছিল তার সাথে বিয়ে হওয়ার কারণে তাদেরকে পূর্বের স্বামীর কাছে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এধরনের ঘটনা আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দিনের পর দিন ঘটে যাচ্ছে। ফলে সমাজের কাছে যেমন স্বামী সন্তানদের মান সম্মান খুন্ন হচ্ছে, তেমনি ভেঙ্গে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের সাজানো ঘর সংসার। বিষয়টি প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহনে সচেতন এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।