বিশেষ প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের শুইলপুর-খানজিয়া মঝখানে ইছামতি নদীর ভেড়িবাধ ভাঙ্গতে শুরু হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভেড়িবাধ নির্মান করা না হলে যে কোন মুহুর্তে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প¬াবিত হতে পারে। সরেজমিনে যেয়ে শমসের আলী, আনোয়ার আলী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল, ব্যবসায়ী আব্দুস সালামসহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, বর্ষার শুরুতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভেড়িবাধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তের বেড়িবাঁধের বিভিন্নস্থানও ঝ‚ঁকিপ‚র্ণ। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের এদিকে যেন কোন খেয়াল নেই। তারা দেখেও যেন দেখেননা। কারণ ভাঙ্গন মানেই তাদের লাভ। ভাঙ্গনের পর সাধারণ জনগন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করলেও ভুয়া মাষ্টাররোল করে টাকা উত্তোলন করা হয় বলেও জানান অনেকেই। ভাঙ্গন আতঙ্কে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী আরো জানান, জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাধ নির্মাণ না করা হলে যেকোন মুহুর্তে তা ভেঙ্গে খানজিয়া, শুইলপুর, সেহারা, সাতবসু, ব্রজপাটুলিয়া, ভাড়াশিলা, দাদপুর, চালিতা বাড়িয়া,হিজলা, নলতা, তারালীসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ইছামতির পানিতে ডুবে নোনাপানি ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে এলাকার ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, ফসলি জমি। আরো জানা যায়, ইছামতির ভেড়িবাদের ওপর দিকে ঘের ব্যবসায়ীরা ভেড়িবাধ কেটে পাইপ বসিয়ে ঘেরে পানি আনার কারণে ভেড়িবাধে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়াও কতিপয় ব্যক্তি ভেড়িবাধে খানা কেটে পানি দিয়ে মাছের রেনু রাখে। যার কারণেও ভেড়িবাধে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তারা শুধু নিজেদের কথা ভেবে মুনাফা লাভের আশায় এই কাজ করছে। কিন্তু এলাকার ক্ষতির বিষয় তারা চিন্তা করছেনা। তাই এই ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।