শাহাদাত হোসেন দক্ষিণ শ্রীপুর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধঃ কালিগঞ্জ দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বেড়াখালি গ্রামের ধীরেন সরকারের বাড়ির মোড় থেকে বেড়াখালী নদীর ধার ও ফতেপুর নদীর ধার হয়ে বাঁশতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা না করায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।বর্ষা হলে কাদায় হেটে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার সময় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায় ফলে কোনো ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্টের শিকার হচ্ছে। মাটির রাস্তাটি পাকা করার দাবি করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়,বেড়াখালি, নবীনগর, ফতেপুর নদীর ধার সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাঁশতলা বাজারে যেতে হয় প্রতিনিয়ত।দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। রাস্তা খারাপের কারনে আর বৃষ্টি হলে প্রতিনিয়ত জমছে পানি। চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। পায়ে হেটে চলাচল করাও এখন কষ্টসাধ্য। সড়কটি পাকা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী বহনে বেগ পেতে হবে না। শ্রমজীবী মানুষেরা ভ্যান, চালিয়ে সহজে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এলাকার কৃষক মৎস্য চাষীরা বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একের পর এক চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও তাদের রাস্তায় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায়১৫-১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেড়াখালী ও ফতেপুর নদীর ধার গ্রামটি এখনো অবহেলিত। এ গ্রামের শিক্ষার্থীরা কাচা সড়কটি ব্যবহার করে পড়াশোনা করতে দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পায়ে হেঁটে ফতেপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ও মাদ্রাসা, কলেজে যাতায়াত করে । স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবি করেন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ শ্রীপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন বেড়াখালি নদীর ধার থেকে বাঁশতলা বাজার পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন।