রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্যামনগরে বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সাগর গ্রেপ্তার সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পিঠা উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ শ্যামনগরে হাজী ব্রিকস ভাঙচুর, মালামাল লুটপাটে ১কোটি টাকার বেশি ক্ষতি আশাশুনি যুব দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক প্রীতিভোজ উপলক্ষে রাফেল ড্র আশাশুনি উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা তালায় চুরির আতঙ্কে ব্যবসায়ী ও গ্রামঞ্চলের মানুষ বড়দলে হরতালের প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল কয়রায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব—১৭ ফাইনালে সদর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন কয়রায় সুধি সমাবেশে পুলিশ সুপার বনদস্যু, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত উপজেলা গড়ার প্রত্যয়

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে -প্রধানমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

এফএনএস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভ‚মিকা রাখার পাশাপাশি‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বাণীতে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং সংশি¬ষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভ‚তপূর্ব সংশে¬ষ ঘটিয়ে এই মহিরুহ বিদ্যায়তন সমগ্র জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে উলে­খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভ‚মি ছিল না, এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। শেখ হাসিনা বলেন, ’৫২ এর ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত-’৬৬ এর ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলন এবং তাঁর আহŸানে ’৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসা¤প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কর্মচারীগণ অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে একটি সুশিক্ষিত জাঁতি গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য তাঁর দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিলো-বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা যতবারই সরকার গঠন করেছি, জাতির পিতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ততবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষাঙ্গণ সন্ত্রাস-বহিরাগতমুক্ত করে শিক্ষা-গবেষণার অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে খুবই গৌরব অনুভব করি, শেখ কামাল, সুলতানা কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলামনাই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা আমাদের কাম্য। জাতির পিতা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের উপর নির্ভর করে। ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ শিক্ষা ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে। তাই নতুন জ্ঞান আহরণ, উদ্ভাবন, অনুশীলন ও বিতরণে সম্মানিত শিক্ষকগণকে আরো অধিক তৎপর এবং আন্তরিক ভ‚মিকা পালনের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভ‚মিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ৪র্থ শিল্প বিপ্ল¬বের সুযোগসমূহকে কাজে লাগাতে আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ও কার্যকর ভ‚মিকা পালন করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com