এফএনএস: ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক) টোল আরোপরে প্রথম দিন গত শুক্রবার পারাপার হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪টি গাড়ি। এতে আদায় হয়েছে ৬৯ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ টাকার টোল। গতকাল শনিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিয়ান রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়কের মোট ছয়টি জায়গায় টোল আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গায় টোল আদায় হচ্ছে। এদিকে, গত শুক্রবার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার অভিমুখে গাড়ির দীর্ঘ সারি থাকলেও গতকাল শনিবার একেবারেই ফাঁকা দেখা যায়। সকাল থেকে নেই কোনো যানজট কিংবা যানবাহনের অপেক্ষার চিত্র। ফলে স্বস্তি ফিরেছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের। দেখা যায়, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় মোট পাঁচটি বুথে আদায় হচ্ছে টোল। ব্যক্তিগত, গণপরিবহন ও পণ্যবাহী গাড়ি সহজেই টোল দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে। একেবারেই যানবাহনের চাপ নেই টোলপ্লাজা ও অভিমুখের সড়কে। ১ জুলাই থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সর্বনিম্ন মোটরসাইকেলে ৩০ টাকা ও ভারী যানবাহনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৯০ টাকা টোল আদায় হচ্ছে। এদিকে মহাসড়কে এর আগে তিনটি সেতুতে (পোস্তগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ) টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে। এখন শুধু এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিয়ে চলতে পারবে গাড়ি।