ইছহাক আলী শোভনালী থেকে: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে কোন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মানুষ চরম দুর্ভোগে জীবন অতিবাহিত করে। বর্ষা মৌসুমের সাথে বর্ষার পানি পেয়ে যখন মাছগুলো ছোটাছুটি করে তখন কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে নদীর সাথে যোগাযোগ থাকার কারণে তারা নদী থেকে যেকোন কৌশলে পানি তোলে। অন্যদিকে, ইউনিয়নের আটটি গ্রামের পানি একটি খাল দিয়ে নিষ্কাশন কারণে পানি নিষ্কাশন এর পথে বালির চর পড়ায় ঠিকমত পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। যার কারণে বর্ষার মৌসুমে ১ বার বর্ষা হলেই কয়েক সপ্তাহ লাগে পানি সরতে এতে ঐসব এলাকার পথ ঘাট বর্ষা না হলেও তলিয়ে যায়। যার কারনে এলাকার মানুষের যাতায়াত সহ নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করতে আসতে হয় পানি ঠেলে এবং বর্ষার মৌসুমে পানি বৃদ্ধির কারনে অনেক সময় রোগী সহ স্কুল গামী শিক্ষার্থী ও বয়ষ্কদের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এরপর আবার সরকারি খাল জন সাধারণ এর হাতে না থেকে প্রভাবশালীর কাছে ইজারা দেওয়ায় সব সময় তারা বর্ষার মৌসুমে মাছ আটকানোর জন্য নেট পাটা দিয়ে পানি বন্ধ করে রাখে, ফলে এলাকার মানুষের জনদুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। শোভনালী ইউনিয়নের পানি সরানোর জন্য বসুখালী খালের ওপর অবস্থিত বাজারের পাশে একটি মাত্র গেট। এর আগে দুইটা গেট ছিল, সেগুলা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আটটি গ্রামের পানি সরানোর জন্য একটি মাত্র গেট রয়েছে।গ্রামগুলা হলো বালিয়াপুর, গোদাড়া,বাটরা,কামালকাটি,শালখালী,কাটাখলী,ঝিয়ামারি এবং বসুখালী। এ বিষয় শোভনালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলান আবু বক্কর সিদ্দীক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বর্ষার মৌসুম আসার আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে খাল খননের ব্যাবস্থা সহ অচল দুইটা গেট চালু করার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। ইউপি সদস্য উদয় কান্তি বাছাড়ের কাছে পানি বৃদ্বির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, গেটের পাট নষ্ট থাকার কারনে ও খালে দুই ধারের রাস্তা নিচু থাকায় ও খাল ভরাট হওয়ার কারনে বর্ষার মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও রাব্বি হাসান জানান, শোভনালী ইউনিয়নের সকল গেটের পাঠ বরাদ্দ হয়েছে, সময় মতো ওটা পাঠানো হবে। খাল খননের বিষয়ে উপরে তথ্য পাঠানো হয়েছে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। শোভনালী ইউনিয়নের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।