এফএনএস: ঈদের আগে গবাদি পশু ও পরে চামড়া চোরাচালান রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা সেক্টরে বিশেষ নির্দেশিকা দিয়েছি। বিশেষ করে যে এলাকায় চামড়া পাচারের প্রবণতা বেশি সেখানে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমরা আশা করি, এবার চামড়া চোরাচালান রোধ করতে শতভাগ সফল হবো। গতকাল সোমবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) ২২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ঈদের আগে গবাদি পশুর চোরাচালান বেড়ে যায়। আমরা এবার চেষ্টা করছি, যাতে ভারত কিংবা অন্য কোনো সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ, আমাদের দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে বলে খামারিরা জানিয়েছেন। এজন্য প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিওপিকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মপরিধি অনেক বাড়িয়েছি। বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখন চেষ্টা করছি, এক বিওপি থেকে আরেক বিওপির দূরত্ব আরও কমানোর। এরইমধ্যে জনবল বাড়িয়েছি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোনো এলাকায় যদি জনবল বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে অন্য এলাকা থেকে রিসোর্স সেখানে বাড়াই। মোটকথা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান কিংবা অবৈধ পাচাররোধে বিজিবি সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর রিজিওন সদর দপ্তরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ, রাজশাহী ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পরিচালক লে. কর্নেল বাব্বির আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জএসএম জাফরউলাহ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী প্রমুখ।