এ্যাডঃ তপন কুমার দাস \ তিনি কেবল কবি নন, মানবতাবাদী কবি, তিনি কেবলমাত্র বিচারক নয়, দেশের বিচারঙ্গনের আলোকউজ্জ্বল প্রতিমুখ। তিনি কবিতাকে কেবল ভাষা বা শব্দের সমাহারে পরিনত করেননি, তার কবিতা মানবকুলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবেশ করেছে। মানবতা, অসঙ্গতি, বিরোধ, বিভাজন, নারী অধিকার, নিত্য দিনের রোজনামচা কবিকে মানবতার শ্বেত শুভ্র পঙ্কিলতা আর ভাষা শ্রমিকে পরিনত করেছেন। বিচার বিভাগের জটিল সমিকরন, বিধি-বিধান, শুনানী সেই সাথে প্রশাসনিক কাজ আর তাই সময়ের প্রয়োজনঃ সময় কোথায় কবিতা লেখার, কিন্তু বাস্তবতা হলো তিনি কবিতা লিখেই চলেছেন। সাহিত্যকে শক্তিশালী করার মানবতা যেমন কবিতাকে স্পর্শ করেছে অনুরূপ দ্রোহ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার উপজীব্য সেই সাথে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের অশ্র“ সিক্ত আর সাহস ও বীরত্বের ঝিলিক প্রজ্বলিত হয়েছে। জাতির পিতাকে নিয়ে “পিতার প্রতি প্রতিশ্র“তি’’ কবিকে দায় বদ্ধতার কবল হতে রক্ষা করেছে। সাহিত্য আর মানবকুল একে অপরের পরিপূরক তা যেন বারবার কবিতায় উচ্চারন করেছেন। সাধারন মানুষের কাতারে কবি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। শব্দ সৈনিক, ভাষা সৈনিক, তিনি সাতক্ষীরার সন্তান না হলেও সাতক্ষীরার মাটি মানুষেরই যেন অন্তহাসি। যে মানবতাবাদী, প্রতিশ্র“তিশীল কবিকে নিয়ে এমন আশীর্বাদময় এবং যথাযথ সেই কবি হলেন সাতক্ষীরার বিচার বিভাগের অভিভাবক বিশিষ্ট্য কবি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় কবিতা পরিষদ আয়োজিত মানবতার কবি, শেখ মফিজুর রহমানের কবিতা থেকে আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে আলোচকরা, অতিথিরা কবি ও কবিতা সম্পর্কে উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত উক্ত জমকালো আলো ছড়ানো আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, আসরে মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার, পেশাদার আবৃত্তি শিল্পী না হয়েও আবৃত্তির ধরন, উচ্চারন শব্দ গাঁথুনি কবির কবিতার অর্থ অতিথিরা সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রেজা রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মোঃ রবিউল ইসলাম, বিজ্ঞ পিপি এড: আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদ সদস্য আমজাদ হোসেন, কবি সৌহার্দ সিরাজ। কবির কবিতা অন্যান্যদের মধ্যে আবৃত্তি করেন মাছুদুর রহমান, মনিরুজ্জামান, দিলরুবা রোজ, রাজিব মেহবুব, স্বপ্না চক্রবর্তী, তামান্না জাবারিন, অনিষা রায়, তাছলিমাহ তুষ্টি, মামইয়া মারজান, মাহাযির রহমান প্রমুখ আবৃত্তি করে। আবৃত্তি অতিথি ও শ্রোতারা উপভোগ করেন। প্রধান অতিথি আলোচক, আয়োজক শ্রোতা, আবৃত্তিকারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এমন আলোকিত আয়োজন নিশ্চই কবিতা এবং সাহিত্য শক্তিশালী হবে। আর তাই আয়োজকদেরকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান।