মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি থেকে \ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু উজিরপুর সড়কের পাইথালী থেকে কালিবাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। কার্পেটিং সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে ভারী যানবাহনের চাপে ডেবে গিয়ে এক থেকে দেড় ফুট গভীরতার বহু গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই খানা খন্দক গুলো পানিতে ভরে গিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকৃতিক যানবাহনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ার পাশাপাশি যাত্রীরা হচ্ছে শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবার সকালে পাইথালী এবং নৈকাটির সীমানাবর্তী এলাকায় ইজিবাইক উল্টে একই পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়। এঘটনায় তাদের কাছে থাকা দুটি স্মার্ট ফোন সড়কের গর্তের পানির মধ্যে পড়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষন খোঁজাখুঁজির পর ফোন দুটি পাওয়া গেলেও ততক্ষণে সেগুলো পুনরায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া বৃষ্টিতে রাস্তার মাটি যখন নরম হয়ে পড়ে তখন ভারী যানবাহন চললে চাকার চাপে ১ফুট গভীরতার গর্ত হওয়ার পাশাপাশি গর্তের সাথেই মাটি ১ফুট উচু হয়ে যায়। ব্যস্ততম এ কার্পেটিং সড়কের কিছু দুর পরপর ১থেকে দেড় ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট-বড় যে কোন যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রায় ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং এ সড়কের অধ্যেকের বেশি অংশের পিচ উঠে নিচের কাদা-মাটি পাশ্ববর্তী বাকি সড়কের উপরে উঠে যানবাহন চলাচলের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভারি যানবাহন গর্তে ডেবে গিয়ে বিকল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়া জনদুর্ভোগ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোভনালীর কামালকাটি (শালখালী) ব্রীজ ভেঙে পড়ায় বা চাপড়ায় মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজের পাত সংস্কার জনীত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে এ সড়কের উপর চাপ বেড়ে দিনে কয়েক শত ভারী যাহবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জগামী বিভিন্ন ভারী যানবাহন সটকাট পথ হিসেবে এ সড়কটি বেছে নেয় চালক। রাস্তার করুন অবস্থার পরেও প্রতিদিন ছোট-বড় সহস্রাধীক যানবাহন চলাচলের কারনে দিন দিন রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার পাশাপাশি জন সাধারণের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে। পাইথালী বাজার থেকে কালিবাড়িগামী রাস্তার পাইথালী কার্পেটিং রাস্তার সংযোগ স্থলের বেশ কিছু অংশ, হাফিজুল ইসলাম, নৈকাটি মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ির সন্নিকটে এবং শোভনালী ব্রীজের দক্ষিণ দিকে কালভার্টের পর থেকে বড় একটি অংশ জুড়ে একাধিক স্থানে গর্ত দেখে মেনে নিতে কষ্ট হবে এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। প্রায়ই পাথর, বালু বা অন্য কোন পন্য বোঝাই ভারী যানবাহন আটকে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের বক্তব্য এ সড়কটিতে ভারী যানবাহন আটকে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার ঘটনা সপ্তাহে ১/২ বার ঘটে থাকে। পাশ্ববর্তী বিকল্প রাস্তা না থাকায় সে সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সকল যানবাহনকে দুদিকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, অতি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে এ সড়ক দিয়ে ছোট-বড় কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারবে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব সড়কের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ অংশ চাষ করে রোলার টেনে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ যথাযথ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।