বিলাল হুসাইন নগরঘাটা থেকে ঃ শখের বসে নিজের ১৫ কাঠা জমিতে সৌদি আরবের আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুর গাছ রোপণ করেছেন তালা মিঠাবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য স,ম,হায়দার আলীর ছেলে। পুত্রও বলী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান মিলন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজ জমিতে কৃষি কাজ করেন। ঐ শিক্ষক দৃষ্টিপাতকে জানান, ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে তিনি সৌদির খেজুর চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর ঢাকা গাজীপুরে যোগাযোগ করেন খেজুরের চারা ক্রয়ের জন্য কিন্তু প্রতি পিচ চারা ১০ থেকে ১৫ হাজার মূল্য চাওয়ায় তিনি হতাশ হন। পরবর্তীতে তার বাবা হজ্জের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গেলে তিনি চাষের জন্য বীজ ক্রয় করে আনেন। বাংলাদেশী ২৫ টাকা মূল্যে তিনি প্রতি পিচ বীজ ক্রয় করে ১’শ ৫০টা বীজ রোপন করেন। আজ তার জমিতে দেড়শটি খেজুরের চারা দিনে দিনে বেড়ে উঠছে। তিন থেকে পাচ বছরের মাথায় ফল ধরার নিয়ম থাকলেও তার খেজুর গাছে এক বছরের মাথায় ফল ধরা শুরু হয়েছে। তিনি খেজুর চাষের পাশাপাশি ঐ জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জাতের খেজুর গাছের শতকরা ৮০টি গাছ পুরুষ জাতের হয়ে থাকে । পুরুষ ফুলের পরাগ মেয়ে গাছের ফুলে পরাগায়ন করলে ফলের ধরণ অনেক ভাল হয় বলে তিনি মনে করেন । তবে এই খেজুর গাছ চাষের পদ্ধতি ও পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে নিজ জেলা ও জেলার বাইরে সরকারি কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করে তিনি কোন সুফল পাননি। তবে সরকারি ভাবে এই সৌদি খেজুর চাষের উপর কৃষকদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন ।