শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

আশাশুনি কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের টাকা আত্মসাত \ ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনিতে কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে অর্থ বছর পার হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট মহিলা মেম্বারদের টাকা বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উত্তোলিত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে দাবী করে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ভূক্তভোগি মহিলা মেম্বারগন। আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম প্রকল্পের দায়িত্বে কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ১১ ইউনিয়নের ১১জন মহিলা মেম্বার ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এসময়ে তাদের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা তাদেরকে অজ্ঞাত রাখা হয়। মহিলা মেম্বাররা বারবার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে বলা হয় ‘বরাদ্দ আসলে টাকা দেওয়া হবে’। এসকল মেম্বারদের সবাই বিগত নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি। তাই তারা ২০২২ সালে এ প্রকল্পের কাজের সাথে জড়িত ছিলেন না। ২০২২ সালে ৬ মাসের বরাদ্দের টাকা এসময়ে জড়িত মেম্বারদের মাঝে বিতরণ করা হলেও পুরনো বছরের টাকা না পেয়ে তারা যোগাযোগ করতে থাকেন। তখন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, পূর্বের বরাদ্দ আসেনি। তাই তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়নি। তখন তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা জেলার দেবহাটা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, তালা ও কলারোয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তাদের টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাদের ধারনা, তাদের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। তারা জানান, শুধু তাদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি, যে সব মহিলা মেম্বার পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে পুরো টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। তারা দাবী করেন, তাদেরকে না জানিয়ে ও স্বাক্ষর না নিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে। আমাদের স্বাক্ষর নিলে জানাজানি হবে তাই স্বাক্ষর জাল করে টাকা উঠানো হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। বাধ্য হয়ে মেম্বারদের মধ্যে রোজিনা খাতুন, রমেছা বেগম, পূর্ণিমা রানী, লাহুমা, পারভিন, মনোয়ারা সহ টাকা না পাওয়া মহিলা মেম্বাররা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপ-পরিচালক মহিলা বিকষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরাকে। এব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, পুরাতন মেম্বার ১১ জন কেউ টাকা নিতে আসেনি। টাকা বরাদ্দ এসেছে, টাকা উঠিয়ে আমার একাউন্টে রাখা হয়েছে। নতুন মেম্বারদের টাকা দেওয়া হয়েছে, তারা আসলেই টাকা দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com