বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের নতুন নতুন ক্ষেত্র বিনির্মান করে চলেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই আমাদের রপ্তানী বাণিজ্যে গতি সঞ্চার করছে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের যতগুলো ক্ষেত্র তার মধ্যে অন্যতম গার্মেন্টস শিল্প। চিংড়ী শিল্পের অবস্থা অত্যন্ত সম্মান জনক পর্যায়ে এবং প্রতি বছর বাংলাদেশ চিংড়ী রপ্তানীর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। একদা আমাদের দেশ আমদানী নির্ভর ছিল এবং উক্ত আমদানী নির্ভরতায় প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়ে আসছিল। কিন্তু পরিস্থিতি আর বাস্তবতায় বর্তমান বছরগুলোতে বাংলাদেশ আমদানীর পরিবর্তে রপ্তানী বাণিজ্যে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ বহিঃবিশ্বে তথা আন্তর্জাতিক বাজারে যতগুলো পণ্য সামগ্রী রপ্তানী করে তার মধ্যে অন্যতম হলো গার্মেন্টস সামগ্রী। বিগত করোনা কালীন সময় গুলোতে আমাদের গার্মেন্টস সামগ্রী রপ্তানীতে কিছু ছন্দ পতন ঘটে এবং করোনার ধকল কাটিয়ে সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সামগ্রী বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করা হচ্ছে। বিশ্বের বিস্ময় এবং আমাদের দেশের সক্ষমতার প্রতিক হিসেবে বিবেচিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে গার্মেন্টস সামগ্রী রপ্তানীতে নতুন দিগন্তের সুচনা হয়। গত কয়েকদিন পূর্বে রজধানী ঢাকা হতে উলেখযোগ্য পরিমান গার্মেন্টস সামগ্রী মোংলা বন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানী হয়েছে, উলেখ্য ইতিপূর্বে আমাদের গার্মেন্টস সামগ্রী চট্টগ্রাম সামুদ্রীক বন্দর দিয়ে রপ্তানী হতো। সময় ব্যয়, অর্থ ব্যয় এবং রাজধানী ঢাকা হতে চট্টগ্রাম অপেক্ষা মোংলার দুরত্ব কম হওয়ায় পদ্মা সেতুর সুফল রপ্তানী বাণিজ্যকে দূরত্ব অন্তত দুই শত কিলোমিটারের অধিক পথ, একদিকে যাতায়াত যোগাযোগ এবং পণ্য রপ্তানীতে সহজলভ্যতা অন্যদিকে আমাদের দেশের উৎপাদিত গার্মেন্টস সামগ্রীর গুনগত মান বিশ্বের অপরাপর গার্মেন্টস উৎপাদনকারী দেশ অপেক্ষা অধিকতর মানসম্মত।