বর্তমান সময় মুক্ত বাজার অর্থনীতির সময়, উৎপাদনকারী তার পণ্য সামগ্রী যথাযথ ভাবে যেন বাজারজাত করতে পারেন সে বিষয়টি বিশেষ ভাবে নিশ্চিত করা না গেলে উৎপাদনকারী লোকসানের মুখে পড়বে। বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে উৎপাদনে অনেক অনেক দূর এগিয়ে চলেছে আর উৎপাদনমুখি বাংলাদেশ তার উৎপাদিত শিল্প পণ্য ও কৃষি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে। উৎপাদন করা পণ্য সামগ্রী যথাযথ সময়ে রপ্তানী এবং বাজার জাত করনের জন্য চাই সুষম পরিবেশ এবং পরিস্থিতি। কেবল রপ্তানী করা পণ্য সামগ্রীর জন্য অনুকুল ও সহজলভ্য মাধ্যম নয়, প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানীর জন্যেও চাই উর্বর ক্ষেত্র আর এজন্য বন্দরের বিকল্প নেই। তবে বন্দরটি হতে হবে অতি উত্তম। বাংলাদেশের অতি পুরাতন এবং প্রাক্তন নৌ বন্দ হিসেবে ইতিহাসের অংশ হিসেবে নিজেকে জানান দিচ্ছে সাতক্ষীরর কালিগঞ্জের বসন্তপুর নৌ বন্দর। আমাদের দেশের এক সময়ের অর্থনীতি তথা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছিল বসন্তপুর নৌ বন্দর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় বসন্তপুর নৌ বন্দর। অতি স¤প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া বসন্তপুর নৌ বন্দরটি চালু করনের প্রক্রিয়া চলমান। আর এ জন্য চলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শন ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছে। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত গতকাল বসন্তপুর নৌ বন্দর ইতিহাসের স্বাক্ষী, বন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে “কর্মসংস্থান আর অর্থনীতি হাতছানি দিচ্ছে শিরোনামে অতি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে বসন্তপুর নৌ বন্দরটি চালু হলে সাতক্ষীরা সহ গোটা দক্ষিন অঞ্চলের অর্থনীতির দৃশ্যপট পরিবর্তন হবে। ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বীত হবে, কেবল আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্র বিস্তৃত হবে তা নয়, বসন্তপুর নৌ বন্দর চালু হলে অভ্যন্তরীন বাণিজ্য অনেক দুর এগিয়ে যাবে, নৌ পথের যাতায়াত যোগাযোগ এবং পণ্য বহনে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। বসন্তপুর নৌ বন্দর চালুর অপেক্ষায় আশায় বুক বেঁধেছে সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধীক জন সমাজ।