জমিজমা মালিকানা পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে রেজিষ্ট্রি করা কে বুঝায়। আর এ জন্য অর্থাৎ জমিজমা ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা কে অবশ্যই সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যেতে হয়, সাব রেজিষ্ট্রার দলিল সহ তার স্বপক্ষের কাগজ পত্রাদি পর্যালোচনা পরবর্তি জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় জেলা সদরের সদর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস সহ সাতটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অস্তিত্ব বিদ্যমান। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দৈনিক দৃষ্টিপাত গতকাল সাতক্ষীরা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসগুলোতে হাটের ভিড় : জন ভোগান্তী তিন জন সাবরেজিষ্টার নিয়ে চলছে সাতক্ষীরার জমিজমা রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম” জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটিতে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটের ভিড়ের মধ্যে অবস্থান করতে হচ্ছে যা চরম ভোগান্তীর পাশাপাশি জনভোগান্তী বলা যায়। সাতক্ষীরার সাত সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে সাতজন সাব রেজিষ্টারের পদ থাকলেও বর্তমান সময়ে কর্মরত আছে মাত্র তিনজন। যে কারনে সাত জনের কাজ করতে হচ্ছে তিন জনের। রেজিষ্ট্রি অফিসে আগমনকারী লোকজন ঘন্টার পর ঘন্টা অবস্থান করে সময়ক্ষেপন করছে এবং চরম ভোগান্তীর শিকারে পরিনত হচ্ছে, সাতক্ষীরার বাস্তবতায় জনভোগান্তী আর সাব রেজিষ্টারের অনুপস্থিতি কেবল মাত্র জনভোগান্তীর কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে তা নয় ব্যাপক ভিড়, এবং অতিরিক্ত দলিলের উপস্থিতির কারনে ভুল ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক সেই সাথে সাব রেজিষ্টারের জন্য একই দিনে বহু সংখ্যক দলিল রেজিষ্ট্রি করা ভূল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। জেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিস গুলোতে প্রতিদিন জমি রেজিষ্ট্রি হওয়ার কথা সেখানে কোন কোন অফিসে সপ্তাহে এক দিন, দুই দিন বা সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত হচ্ছে। জন ভোগান্তী এই মুহুর্ত পার করতে হবে আর এজন্য সাতক্ষীরার সাতটি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সাত সাব রেজিষ্টার নিয়োগ এর মাধ্যমে কোন ধরনের জন ভোগান্তী ব্যতিত জমি রেজিষ্ট্রি কার্যক্রম সহজ করার বিকল্প নেই।