স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিযোগ্য সকল পণ্য আমদানি সহ কাস্টমস হাউজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন জেলা আ’লীগের বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন। জানাগেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ভোমরা শুল্ক স্টোশনকে পুর্ণাঙ্গ বন্দর হিসাবে বাস্তবায়ন কল্পে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন পুর্বক গত ১৮ মে ২০১৩ সালে নৌ পরিবহন মন্ত্রী বন্দরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সকল পন্য আমদানি অনুমতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানান, একই সাথে বেনাপোল সোনা মসজিদ, হিলি, বুড়িমারী বাংলাবাদ্ধা ন্যায় ভোমরায় সুবিধার জন্য আদেশ জারি অনুরোধ জানান। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হইবার পরও এ পর্যন্ত রাজস্ব বোর্ড কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। বর্তমানে ভোমরা বন্দরে ১ লক্ষেরও বেশী মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ভারতের কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের সাথে ভোমরা বন্দরের দুরত্ব কম হওয়ায় অন্য যে কোন বন্দর অপেক্ষা অনেক কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সুবিধা বোধ করেন। এতে আমদানী ব্যায় ও সাশ্রয় হয়। অন্যান্য বন্দর, থেকে ভোমরা বন্দরের বৈষম্যমূলক আচারনের স্বীকার হন। অথচ ভোমরা দেশের অন্যান্য সকল শুল্ক থেকে বেশি রাজস্ব আহরন করিতেছে। এখান থেকে সরকারী রাজস্ব লক্ষমাত্রা অর্জন করিতে সক্ষম হইয়াছে। ভোমরা বন্দর দিয়ে মাত্র ৭৭টি পণ্য প্রবেশের অনুমতি থাকা সত্তে¡ও প্রশাসনিক জটিলতা ও সরকারি জনবলের সংকটে মাত্র ২৭-২৮ টি পন্য প্রবেশ করিতেছে। এখানে যুগ্ম কমিশনার পদ মর্যাদা কর্মকর্তার পদ থাকা সত্তে¡ও কোন কর্মকর্তা নেই। এ ক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অবলম্বন হইতেছে। অন্যান্য শুল্ক স্টেশনের নিষিদ্ধ পন্য ব্যতীত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি প্রদান। রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানি কৃত পণ্যের জন্য আলাদা ট্রাক টার্মিনাল নির্মান। সাপটা চুক্তি, বাস্তবায়ন জরুরী ভিত্তিতে যুগ্ম কমিশনার পদায়ন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃদ্ধি করন। সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষ আশায় বুক বেধেছে শুল্ক স্টেশনকে পুর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তরে দাবিতে। পুর্ন বন্দর হলে মানুষের কর্মস্থল বাড়বে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। দেশের অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখবে। একই সাথে পদ্মা সেতুর সুফল পাবে সাতক্ষীরা বাসী।